Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাত দিন সাত রকম খাবারে ওজন নিয়ন্ত্রণ


১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৩০

উৎসবের এই সময়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নেই আমরা। সবাই চাই যেকোন উৎসবে নিজেকে সুন্দর দেখাতে। বাড়তি ওজন বাধ সাধে অনেকসময় প্রিয় পোশাক পরার ক্ষেত্রে। রাতারাতি ওজন নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই অসম্ভব এবং অস্বাস্থ্যকর।

দ্রুত ওজন কমানোর পদ্ধতিগুলো খুব বেশিদিন ধরে অভ্যাস করা অনুচিত। এতে শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। আবার ওজন কমানোর সব পদ্ধতি সবার জন্য ফলপ্রসূ হবে তাও নয়।

প্রায়ই দেখে যায় পুষ্টিবিদের দেওয়া বা নিজের থেকেই একটা খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলি আমরা। এতে অনেকসময় বিরক্তি আসে ও আমরা মুখরোচক বা ওজন বাড়ায় এমন খাবার খেয়ে ফেলি। আসুন দেখে নেই ওজন কমাতে সাত দিনে সাত রকম খাবার কীভাবে খাওয়া যায়। এভাবে এক সপ্তাহে অন্তত চার কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। জনপ্রিয়ভাবে একে জি এম ডায়েট বা জেনারেল মটর ডায়েট বলা হয়।

আসুন জেনে নেই এই ডায়েট অনুসরণ করে আপনিও কীভাবে বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে একটি সুস্থ জীবন পেতে পারেন। শর্করা, ও চিনি কম থাকায় এই খাদ্যাভ্যাসে ওজন কমবে দ্রুত। নীচের খাদ্য পরিকল্পনাগুলো থেকে জেনে নেই সপ্তাহের সাত দিন কী কী ধরণের খাবার খেয়ে জি এম ডায়েট অনুসরণ করা যায়। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন অবশ্যই।

প্রথম দিন
প্রথম দিন শুরু করুন ফল খেয়ে। বাজারে এখন নানারকম দেশি ও বিদেশী ফলের সমাহার। কলা বাদে খেতে পারেন যেকোন ফল। সঙ্গে লেবুজাতীয় ফল আর শশা খেতে ভুলবেন না।

দ্বিতীয় দিন
বাজারে শীতকালীন সবজির সমাহার। জি এম ডায়েটের  দ্বিতীয় দিনে শুধুই শাক-সবজি খান। সামান্য ভেজিটেবল অয়েল, অলিভ অয়েল বা মাখনে রান্না ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাঁজর, পেঁয়াজ, আলু খান এই দিন। সেদ্ধ আলুও খেতে পারেন যা পূরণ করবে কার্বো হাইড্রেটের চাহিদা। শসা, লেটুস, গাঁজর আর টমেটোর সালাদও খেতে পারেন। তবে ডাল, মাশরুম, ডিম বা কোন রকম প্রোটিন খাওয়া যাবে না এইদিন।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় দিন
কাঁচা আর রান্না দুইরকমভাবেই সবজি খেতে পারবেন এইদিন। কলা, আলু, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস, ডাল জাতীয় খাবার বাদ যাবে তালিকা থেকে।

চতুর্থ দিন
টানা তিনদিন শাক-সবজি, সালাদ খেয়ে মুখে অরুচি ধরে যাওয়ার কথা। চার নম্বর দিনে খেতে পারবেন কলা, দুধ আর স্যুপ। তবে সারাদিনে ছোট আকারের আটটি কলা ও চার গ্লাস দুধ ছাড়া কিছুই খেতে পারবেন না। চাইলে চিনি না মিশিয়ে কলা ও দুধের তৈরি মিল্ক শেক খেতে পারেন।

পঞ্চম দিন
যারা ভাত খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এইদিন সুখের। তবে সাদা ভাত নয়, বেছে নিন ব্রাউন রাইস বা লাল চালের ভাত। সঙ্গে টমেটো, যেকোন চর্বিমুক্ত লাল মাংস, মুরগি, মাছ, পনির, টকদই আর শসা। এইদিন রাতের খাবারে চলতে পারে পেঁয়াজ, টমেটো, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লবণ, মরিচ, ভিনেগার, লেবুর রস ও নানারকম মশলা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু স্যুপ।

ষষ্ঠ দিন
ছয় নম্বর দিনে আপনার হাতে বিকল্প খাবারের অভাব নাই। খেতে পারেন লাল চালের ভাত, চর্বিমুক্ত মাংস, কাঁচা বা রান্না করা সবজি, সেদ্ধ ছোলা, শিমের বিচি, মুরগি, মাছ, মাশরুম আর যেকোন ডাল। তবে যেকোন দুগ্ধজাত খাবার, গরুর মাংস, সাদা চাল, আম, কলা ও চেরির মত মিষ্টি ফল ও কন্দ জাতীয় সবজি যেমন আলু, মূলা ইত্যাদি খেতে পারবেন না।

সপ্তম দিন
এ কদিনের নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাতে যে কষ্ট হয়েছে তা পুষিয়ে যাবে শেষের দিন। সাত নম্বর দিনে খেতে পারেন ফলের রস, লাল চালের ভাত ও অল্প তেলে রান্না করা শাক-সবজি। তবে আলু, মিষ্টি আলু, কলা, আম, পিয়ারস, দুগ্ধজাত খাবার, হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস, মাসরুম, শিমের বিচি আর সব রকমের ডাল খাওয়া মানা।

সাত দিনে সাত রকম খাবার খেতে কিছুটা কষ্ট করতে হবে। কারণ অল্প তেলে রান্না বা সালাদ বানানোর কাজটা করতে হবে। তবে পরিকল্পনা লিখে রান্নাঘরে বা খাবার ঘরে সহজে চোখে পড়ে এমন জায়গায় টানিয়ে রেখে অনুসরণ করতে পারেন এই ডায়েট। এক সপ্তাহ কষ্ট করার পর আবার আগের মতো অতিরিক্ত তেল, চিনি, লবণ ও শর্করা জাতীয় খাবার খেতে শুরু করবেন না। চেষ্টা করুন প্রতিদিন একটা স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মেনে চলতে। সেইসঙ্গে ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটিটাও চালিয়ে যান। ওজন নিয়ন্ত্রনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল সুস্থ থাকা।

বিজ্ঞাপন

ওজন কমানো ওজন নিয়ন্ত্রণ জি এম ডায়েট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর