হোম কোয়ারেন্টাইন অর্থবহ করবেন যেভাবে
২০ মার্চ ২০২০ ১০:৩০
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। এদেশেও করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এদেশে। করোনা আতঙ্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে গেছে। কিছু অফিসও বন্ধ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন না হলে মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে।
বাসায় কাটানো এই সময়টিও চাইলে অর্থবহ করে তোলা সম্ভব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে বেশি সময় না কাটিয়ে নানা কাজে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। নিজের কাজগুলো গুছিয়ে ফেলা যেতে পারে। আসুন দেখে নেই, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এই সময়কে কাজে লাগাবেন কীভাবে-
ঘরেই ব্যায়াম করুন
এখন বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করার বদলে ঘরেই সেরে ফেলতে পারেন। বাসায় অ্যারোবিক ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন: জোরে হাঁটা, জগিং, দৌড়ানো, দড়ি লাফ ইত্যাদি হলো অ্যারোবিক ব্যায়াম। গবেষকদের মতে, সপ্তাহে ৩০০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম করা যথেষ্ট। সেই হিসেবে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট এই ব্যায়াম করা যেতে পারে।
অ্যারোবিক ব্যায়ামের ফলে শরীরে এন্ডোরফিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়, যার ফলে বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন কমে যায়। অ্যারোবিক ব্যায়াম ওজন কমাতে ও হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শখের কাজে মন দিন
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আমরা নিজের শখও ভুলে যেতে বসি। ছবি আঁকা, সেলাই করা, নতুন কিছু বানানো, রান্না করা- এই কাজগুলোতে মন দিতে পারেন। গাছের বিশেষ পরিচর্যা যেমন: আগাছা পরিষ্কার, সার দেওয়া, কীটনাশক স্প্রে ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারেন। তাহলে সময়টা বেশ কেটে যাবে। একঘেঁয়েভাব দূর হবে।
বই পড়তে পারেন
কিছুদিন আগেই বইমেলা শেষ হলো। মেলা থেকে কম-বেশি প্রায় প্রত্যেকেই পছন্দের বই কিনেছেন। কর্মব্যস্ততা থাকলে বই পড়ার সুযোগ পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। এই অবসরে বইগুলো আরাম করে পড়ে ফেলতে পারেন। চাইলে পছন্দের বই সম্পর্কে পর্যালোচনা বা রিভিউ লিখে ফেলতে পারেন।
সিনেমার জন্য সেরা
এই সময় ভালো কিছু সিনেমা দেখার উপযুক্ত সময়। যে সিনেমাগুলো দেখতে চেয়েছেন কিন্তু সময়ের অভাবে পারেননি, সেগুলো এখন দেখে ফেলতে পারেন। আপনার সন্তানকেও এই সময় ভালো কিছু সিনেমা বা অনুষ্ঠান দেখাতে পারেন।
সিভি আপডেট করা ভালো
সিভি আপডেট করা একেবারেই ছোট কাজ। তারপরও সময়ের অভাবে এ কাজটুকুও অনেকসময় করা হয় না। এই সুযোগে কাজটি করতে পারেন।
নিজের জন্য সময় রাখুন
দিনশেষে নিজের জন্যও সময় রাখতে হবে। নতুন কাজের পরিকল্পনা করতে হবে। যেসব কাজে সময়ের অভাবে এতদিন হাত দিতেই পারেননি সেগুলোর জন্য পরিকল্পনা করুন। পারলে কাজ শুরু করে দিন। লেখালেখির ইচ্ছা থাকলে এই সময়টি আপনার জন্য খুবই উপযুক্ত হবে।
এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়াই ভালো। ঘরে বসেই কাজে লাগান আপনার প্রতিটি মুহূর্তকে।