করোনাপরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা
২০ মে ২০২০ ১৮:১০
ঢাকা: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। করোনা সংকট কাটিয়ে ওঠার পর পর্যটন ব্যবসাকে আবারও সচল করতে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
সেই লক্ষ্যে ট্রাভেল এজেন্সি ‘ট্রাভেলার কী’ দেশ-বিদেশে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারী কর্মকর্তাদের নিয়ে টক শো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ওমেন ট্রাভেলার টক’ শীর্ষক এই টকশোতে করোনা পরবর্তী পর্যটন শিল্পে কাজের প্রস্তুতি ও পরামর্শ বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
‘ট্রাভেলার কী’ এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাল্টন জহিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সিসিও হানিফ জাকারিয়া, উপ সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ্ মাহমুদ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের অ্যাসিটেন্ট ডিরেক্টর (সেল্স অ্যান্ড মার্কেটিং) ফারিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী।
ডাল্টন জহির বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আমাদের পর্যটন শিল্প আবারও চালু হবে। সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিগুলো অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই শিল্প চালু করবে। পর্যটকদের আরও সচেতন হতে হবে। কেবলমাত্র সুস্থ থাকলেই ভ্রমণ আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব।’
হানিফ জাকারিয়া বলেন, ‘এয়ারলাইনসগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। পর্যটনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে আমাদের নজর থাকবে শতভাগ।’
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারী কর্মকর্তারা এসময়ে নিজ নিজ দেশের পর্যটন শিল্পের অবস্থা তুলে ধরেন। ক্ষতি পুষিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিকে কিভাবে চালু রাখা যায় সে বিষয়ে মতামত দেন তারা।
সাইমন ট্রাভেল কোম্পানির ডিএমডি আফসিয়া জান্নাত জানান, ভিসা ব্যবস্থাপনায় নতুন কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটনখাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই সংকট কাটিয়ে ওঠার পর ভিসা করতে ‘করোনা সার্টিফিকেট’ও লাগতে পারে।
ভারত ও নেপালের পর্যটনখাতে জড়িত নারী কর্মকর্তারা জানান, উভয় দেশের সরকারের পক্ষ থেকে করোনাপরবর্তী পর্যটন শিল্প চালুর ব্যাপারে কিছু দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো অবশ্যই পর্যটকদের মেনে চলতে হবে।
শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘করোনা পরবর্তীতে ভ্রমণ চালু হলেও প্রতিটি হোটেল ও সার্ভিস সেক্টরগুলোতে প্রশাসনের নজর থাকবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করা হবে। সরকারি নির্দেশনা যেন সব পর্যটক মানেন সেই দিকটি খেয়াল রাখবে পুলিশ বিভাগ।’
ফারিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিথিদের সেবা দেওয়ার বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
আলোচনায় অংশ নেন সাউদিয়া এয়ারলাইনসের জিএম আবিদা রহমান, অর্চিড জিও টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান শারমীন সুলতানা, রোদশী বাংলাদেশের সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, সাইমন গ্রুপের ডিএমডি আফসিয়া জান্নাত সালেহ, কানাডার শিক্ষার্থী সান্দারা অ্যাপি, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার অ্যান্ড টিচার এর সদস্য এলিজা বিনতে ইলাহী, সানামি ট্রেডিংয়ের সিইও নাসরিন হক, ভারতের অ্যাভিয়েশন সেক্টর প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রির প্রিয়াংকা পাল, আলিফ হোম সল্যিউশানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবরিনা নাসরীন আলিফ, নেপালের অপূর্ব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল কোম্পানির এমডি শারমিলা কাফলি, ভারতের ট্রাভেল প্রোফেশনাল কোম্পানির মিনাল বড়পাত্র, ফটোগ্রাফার মম মোস্তাফা, রোজিনা খান, কাতার এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা তাসলিমা বিথি, রয়েল টিউলিপ হোটেল কক্সবাজারের মার্কেটিং কমিউনিকেশন সুমাইয়া আক্তার, নাবিলা আক্তার প্রমুখ।