ভয়ংকর সুন্দর পর্যটন স্পট সিনাবাং আগ্নেয়গিরি
১৭ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩৬
ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে একটি দল আছে যারা বেশ বিপদজনক, ভয়ংকর, শিহরণ জাগায় এমন কিছু অভিজ্ঞতার খোঁজে থাকেন সবসময়। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে যান রোমাঞ্চের খোঁজে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যা রোমাঞ্চের সঙ্গে বিপদও ডেকে আনতে পারে। ভয়ংকর সুন্দর সেসব জায়গা নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে আজ থাকছে ইন্দোনেশিয়ার সিনাবাং আগ্নেয়গিরির কথা।
সুমাত্রার ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপে অবস্থিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সিনাবাং। ২৪৭৫ মিটার উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরিটি প্রায়ই এমনভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে যে, হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রাণ নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ২০১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ এমনকি ২০ সালেও এটি যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন আশপাশের শহর ও গ্রামগুলো কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ২০১৬ সালের বিস্ফারণে এটি গ্যাস, পাথর ও ছাইয়ের কুন্ডলী বের করে দেয়। চার বছর পর ২০২০ সালের আগস্টে আবারো উদগিরন শুরু হয় এই আগ্নেয়গিরির। ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে উদগিরন শুরু করে এটি। ১৬,৪০০ ফুট পর্যন্ত ছিটকে পড়ে ছাই, পাথর ও আগুনের লাভা। ভবিষ্যতে সেখানে কি হবে তা কেউ জানে না।
দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় একাধিক আগ্নেয়গিরি সক্রিয় থাকলেও সবচেয়ে ভয়ংকর এই সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গবেষণা ও পর্যটন স্পট হিসেবে এটি গুরুত্ব পেয়েছে এবং ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
২০১০ সালের আগ্নেয়গিরির বিষ্ফোরণে ২২০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতেও সেখানে কিছু মানুষ আছে যারা পর্যটন খাতে কাজ করেন। পর্যটনের ওপরই তাদের জীবিকা নির্ভর করে। যেমন, ট্যুর গাইড, বিক্রেতা ইত্যাদি। সিনাবাং আগ্নেয়গিরি দেখতে হলে আপনাকে এর আশপাশে শহরগুলোতে অবস্থান করতে হবে। কারণ সিনাবাং এর আশপাশে যাওয়া পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ। তবে ভালো ট্যুর গাইডের সহায়তায় সিনাবাং এর কাছাকাছি পর্যটক অনুমোদিত গ্রামে গিয়েও আপনি এই আগ্নেয়গিরির দেখা পেতে পারেন।
সারাবাংলা/এসএসএস