গরমে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, সর্দি-জ্বর, জন্ডিস, ঘামাচি, হিট স্ট্রোকসহ নানা সমস্যা এসময় দেখা দিতে পারে। ফলে দরকার বাড়তি সতর্কতার। চলুন দেখে নেয়া যাক, গরমকালে শারীরিক সমস্যাগুলো এড়াতে যা করা উচিত—

প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা দরকার
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা দরকার। গরমকালে ঘামের সঙ্গে যেহেতু পানি ও লবণ বের হয়ে যায় ফলে স্যালাইন, পানি ও ফলের রস খেতে হবে। অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ডাবের পানিও এ সময় অত্যন্ত উপকারি। এ সময় চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত। প্রয়োজনমতো গোসল করতে হবে এবং শরীর ঘাম ও ময়লামুক্ত রাখতে হবে।

প্রচন্ড গরমে পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়
মশলাযুক্ত খাবার নয়
প্রচন্ড গরমে পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ডায়রিয়ার প্রকোপ এসময়ই বাড়ে। ফলে কম তেল ও মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে হবে। ভাজাভুজি কম খেতে হবে। সাধারণ খাবার যেমন ভাত, মাছ, সবজি, ডাল, ভর্তা এসব খেতে হবে। বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। বাসায় তৈরি খাবার খেতে হবে। এতে করোনা সংক্রমণ ও গরমকালের অসুখ-বিসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

বাইরে গেলে ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরা ভালো
সুতি পোশাক পরা ভালো
সাধারণ ছুটির পর এখন অফিসে যেতে হচ্ছে অনেকের। বাইরে গেলে ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরা ভালো। এতে তীব্র গরমেও কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।

প্রক্রিয়াজাত করা খাবারে প্রচুর চর্বি ও সোডিয়াম থাকে
প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিন
প্রক্রিয়াজাত করা খাবারে প্রচুর চর্বি ও সোডিয়াম থাকে। ফলে এই গরমে এসব না খাওয়াই ভালো। তাজা ফল ও সবজির প্রতি গুরুত্ব দিন এখন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর জুড়ি নেই
ভিটামিন সি খান
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর জুড়ি নেই। টকজাতীয় ফল যেমন লেবু, মালটা, আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিন ২ রকমের ফল খেতে হবে।

শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়
ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখুন
শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। যেহেতু গরমে দিন বড় এ জন্য রাতে শরীর মানিয়ে নিতে সময় নেয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখবেন না।