প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি তাড়ান
১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৮
শীত আসে, সঙ্গে নিয়ে আসে শুষ্ক ত্বক, খুশকি। ত্বক তো বটেই চুলও হয়ে ওঠে রুক্ষ। কখনো বেশি ফুলে থাকে, অতিরিক্ত সোজা অথবা অতিরিক্ত কোঁকড়া। এসব তো আছেই, সবচেয়ে বিরক্তিকর হল নাছোড়বান্দা খুশকি। চুলের গোঁড়ায় শুধু নয়, অনেকসময় চুলের উপরেও ভেসে ওঠে খুশকি।
খুশকি কী
প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ত্বক তৈরি হচ্ছে ও নতুন ত্বক পুরনো ত্বকের জায়গা নিচ্ছে। এটি মূলত চুলের গোঁড়ায় জমে থাকা মরা ত্বক। মরা ত্বক উপরে আসলে সেটাকে খুশকি হিসেবে দেখা যায়। সাধারণত এগুলো আকারে এতই ছোট হয় যে, চোখে পড়ে না। কিন্তু চুলের খুশকির ক্ষেত্রে নতুন কোষ তৈরির হার বেড়ে যায় ফলে সেগুলো চুলের গোঁড়ায় জমা হতে থাকে। চুলের গোড়া নিঃসৃত তেল ও ময়লার সঙ্গে মিশে সেগুলো আকারে বড় হয় ও চোখে পড়তে থাকে।
খুশকি হওয়ার কারণ
এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল সেবরিক ডার্মাটিটিস যা সেবোরিয়া নামে পরিচিত। এছাড়াও ত্বকের শুষ্কতা, কোন নির্দিষ্ট চুলের প্রসাধনে প্রতিক্রিয়া, একজিমা বা সোরিয়াসিস থাকলে খুশকির প্রবণতা বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা অসুস্থতা থাকলেও খুশকি বেড়ে যেতে পারে।
আবার শীতকালে খুশকির প্রবণতা বেড়ে যায়। ভিটামিন বি বা জিঙ্কের ঘাটতি হলেও বেড়ে যেতে পারে খুশকি।
পরিচ্ছন্নতার অভাবেও বেড়ে যেতে পারে খুশকি। দীর্ঘদিন ধরে শ্যাম্পু না করলে এমনটা হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে দীর্ঘদিন ধরে তেল জমতে জমতে খুশকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে ঘন ঘন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকে শুষ্কতা বেড়ে খুশকি দেখা দিতে পারে।
- দেখে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করার কিছু উপায়—
টি ট্রি অয়েল
প্রাচীন আমল থেকেই ব্রণ, সোরিয়াসিস কিংবা খুশকি দূর করতে টি ট্রি অয়েল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। খুশকির পাশাপাশি এটি মাথার চুলকানি দূর করবে।
তবে সরাসরি এই তেল দেবেন না চুলের গোঁড়ায়। নারকেল তেল বা অন্য কোন তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন অথবা শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ও পানি মিশিয়ে দিতে পারেন।
নারকেল তেল
ত্বকের শুষ্কতা দূর করে যা খুশকি হতে বাঁধা দেয়। শীতকালে প্রাকৃতিক শুষ্কতার জন্য খুশকি দেখা দিলে খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারে উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা
পুড়ে যাওয়া, সোরিয়াসিসের মত ত্বকের নানা সমস্যায় উপকারী বন্ধু অ্যালোভেরা। এটি খুশকি দূর করতেও সমান কার্যকরী। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। চামচ দিয়ে অ্যালোভেরার শাঁস সংগ্রহ করে সেটি সরাসরি মাথার ত্বকে দিন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
এতে থাকা ক্ষারীয় উপাদান মাথার ত্বক থেকে মরা কোষ ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি মাথার ত্বকের জলীয় মাত্রা (পিএইচ ব্যালান্স) ঠিক রাখে। শ্যাম্পু বা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন আপেল সাইডার ভিনেগার।
বেকিং সোডা
মৃদু মাত্রা এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে বেকিং সোডা মাথার ত্বক থেকে মরা কোষ ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে।
শ্যাম্পু করার আগে চুল ভিজিয়ে সরাসরি বেকিং সোডা দিন। মাথার ত্বক ও চুলে ভালো করে মিশিয়ে এক থেকে দুই মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলেন।
সারাবাংলা/এসবিডিই