Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোজায় ত্বকের যত্নে কী করবেন?

শাশ্বতী মাথিন
৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৪১

রোজায় দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সময় অনেকেরই কিছু ভুল হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পানি পান না করা, ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া, কম ঘুমানো, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। ত্বক হারায় স্বাভাবিক প্রাণজ্জ্বলতা, হয়ে উঠে ম্লান।

‘রোজার সময় পানি কম পানের জন্য ত্বক পানিশূন্য ও খসখসে হয়ে যায়। সূক্ষ্ম বলিরেখাগুলো দৃশ্যমান হয়। এ ছাড়া আন ইভেন স্কিনটোন, মেলাসমা, ব্রণের দাগ ইত্যাদির তীব্রতা বাড়ে’ -বলছিলেন, শিওরসেল মেডিকেল বিডির প্রধান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন।

বিজ্ঞাপন

এসব সমস্যা সমাধানে করণীয় কী? উত্তরে ডা. তাওহীদা রহমান বলেন, ‘রোজায় ত্বক ভালো রাখতে দেহের বাহির ও ভেতর থেকে যত্ন নিতে হবে। বাইরের যত্নের ক্ষেত্রে আর কিছু না হলেও নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা এবং ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি। এই ক্ষেত্রে যেসব পন্যগুলো ব্যবহার করা হবে সেগুলো যেন অবশ্যই হাইড্রেটিং (পানি ধরে রাখে এমন) হয়। এই রকম একটি হাইড্রেটিং উপাদান হলো, হাইয়ালুনিক এসিড। একে সুপার চার্জ ওয়াটার মেগনেটও বলা হয়। ময়েশ্চারাইজারে এই উপাদান থাকলে এটি গভীরে গিয়ে ত্বককে সুস্থ রাখে, উজ্জ্বলতা বাড়ায়; বার বার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পরও ত্বক আর্দ্রতা হারায় না।’

‘চোখের যত্নে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। মুখের অন্যান্য অংশের যত্ন নিলেও চোখের যত্নে অবহেলা করে অনেকে। চোখের ত্বক স্পর্শকাতর হয়। তাই এর যত্ন বেশ জরুরি। এই ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে বা ইফতারের পর চোখের পাতায় গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মুখের অন্যান্য অংশের মতো চোখের চারপাশেও ভালোভাবে ময়েশ্চাইজার দিন।’

বিজ্ঞাপন

এবার রয়েছে ভেতরের যত্ন। ভেতরের যত্নের ক্ষেত্রে ডা. তাওহীদা রহমান বলেন, ‘ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অন্তত আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। সাধারণ পানির সঙ্গে রাখতে পারেন ডাবের পানি বা ডিটক্স ওয়াটার। সব ধরনের কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংস এড়িয়ে যেতে হবে। এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জি বাড়ালেও, এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ত্বকে ও শরীরে।’

‘রোজার সময় ত্বক ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বাদাম। যেমন: ক্যাশোনাট বা কাঠবাদাম। এগুলোতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ফ্যাটি এসিড ও আঁশ।’

এই সময় অনেকে ব্যায়াম একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়। এটি সঠিক নয়। রোজা রেখে খুব ভারী ব্যায়াম না করলেও সেহরি ও ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম করুন। অন্তত সামান্য হাঁটাহাঁটি হলেও করা ভালো। ব্যায়াম শরীর ফিট রাখা, মন ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

রোজার সময় পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এই সময় দৈনন্দিন কাজের রুটিনের পরিবর্তন হয় বলে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে বা অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম কম হয়। এতে ত্বক হয়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ত্বক ভালো রাখতে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম অবশ্যই নিশ্চিত করুন।

রোজা একজন সুস্থ-সবল মুসলমানের জন্য অবশ্যই পালনীয়। তাই কিছু বিষয়ে সতর্ক হলে সব ধরনের সমস্যা কাটিয়ে রোজা রাখা সম্ভব। এমনই পরামর্শ ডা. তাওহীদা রহমান ইরিনের।

সারাবাংলা/এসবিডিই

রোজায় ত্বকের যত্নে কী করবেন? শাশ্বতী মাথিন