কেমন হবে ঈদের খাদ্যতালিকা
২১ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৩
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের খুশি ম্লান হয়ে যেতে পারে যদি শরীর খারাপ থাকে। শরীরের এক অত্যাবশ্যকীয় অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে খাবার। এক মাসের লম্বা সময়ের রোজায় আমাদের খাবারের ধরণ, সময়সূচি বদলে গিয়েছিলো। মাহে রমজান শেষে এলো ঈদ। এরপরই আবার পুরনো জীবনে ফিরে যাবো আমরা। তাই সতর্ক হতে হবে ঈদের দিনের খাওয়াদাওয়া নিয়ে। অসর্কতায় যেন ঈদের খুশি ম্লান না হয়ে যায়।
ঈদের দিন হঠাৎই অনেক বেশি খাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায় অনেকের যা একদমই ঠিক না। শরীর ঠিক রাখতে নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। ঈদের দিন একসঙ্গে অনেক গুরুপাক খাবার না খেয়ে পুষ্টি মেপে ও পরিমিত পরিমাণে খান।
আসুন দেখে নেই ঈদের খাদ্যতালিকায় কী কী থাকতে পারে-
মুরগির মাংস, মাছ, ডাল ইত্যাদি রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। এছাড়াও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন- লেবুর শরবত, কমলা/মাল্টার শরবত ইত্যাদি আপনার খাবারে আনবে বৈচিত্র্য ও দেবে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি।
একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে একটু একটু করে ধীরে ধীরে খাবেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে সকাল, দুপুর, বিকাল ও রাতের খাবার কেমন হবে তার কিছু নমুনা দিলাম। আপনারা চাইলে ভিন্নতা আনতে পারেন।
ঈদের দিনের সকালের খাবার
একসঙ্গে অনেক খাবার গ্রহণ না করে অল্প পরিমাণে খান। সকালে ২টি খেজুর অথবা ফলের রস খেতে পারেন। একদম সকালে খালি পেটে দুধের তৈরি খাবার গ্রহণ করবেন না। তাতে এসিডিটি হতে পারে।
ঈদের দিনের দুপুরের খাবার
এই দূর্যোগে সাদা ভাত, সবজি আর মাছ/মাংসের জুড়ি নেই। তবুও ঈদ বলে কথা। তাই স্বাদের ভিন্নতা আনতে খুব কম তেলে পোলাও বা চিকেন বিরিআনি, মুরগির রেজালা বা কোরমা, মাছের যে কোনো আইটেম যেমন-ফিস চপ বা কাটলেট, গ্রিল ফিশ করতে পারেন। তাছাড়া ঘরোয়া পাস্তা, চিকেন শর্মা ইত্যাদি খাবার সালাদ দিয়ে খেতে পারেন।
ঈদের দিনের বিকালের খাবার
দই, সেমাই, লাচ্ছি, মিষ্টি, পুডিং, স্যুপ, নুডুলস ইত্যাদি পরিমাণ বুঝে খাবেন।
ঈদের দিনের রাতের খাবার
আমরা যেহেতু সারাদিন ঘরেই থাকবো তাই রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা হবে। ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগে খেয়ে ফেলতে হবে। যাদের গ্লুটেন হজমে সমস্যা হয় তারা রাতে রুটি না খাওয়া উত্তম। সেক্ষেত্রে ওটসের সাথে দই মিক্স করে খেতে পারেন। আর যাদের গ্লুটেন হজমে সমস্যা নেই তারা রুটি, মুরগির মাংস, সালাদ, টক দই খেতে পারেন। কেউ যদি রুটির সঙ্গে অল্প পরিমাণে গরুর মাংস গ্রহণ করেন তবে সঙ্গে একটু বোরহানি রাখতে পারেন।
আরও সাত পরামর্শ
১. ঘরে বসে ৩০ মিনিট হলেও শরীর চর্চা করুন।
২. সারাদিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করবেন।
৩. ডায়বেটিস, কিডনি, লিভার ডিজিস অর্থাৎ বিশেষ কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসক/পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
৪. ধীরে ধীরে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
৫. অতিরিক্ত মসলা, তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
৬. প্রতিদিন ৬-৭ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৭. মন ঠান্ডা রাখতে মেডিটেশন করুন। বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করুন।
সারাবাংলা/এসবিডিই
ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ কেমন হবে ঈদের খাদ্যতালিকা লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন