শীতে মধু ঘটবে যাদু
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩২ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪২
প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীতের আমেজ। শীতকাল অনেকের পছন্দের হলেও শরীরের যত্ন না নিলে পরতে হবে নানা সমস্যায়। সর্দি-কাশির সমস্যা তো রয়েছেই, সেইসাথে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনাও কম নয়। এ সকল সমস্যার সমাধানে একটাই মহৌষধ – ‘মধু’। আমরা প্রকৃতি থেকে যেসব উপকারী খাদ্য পেয়ে থাকি তারমধ্যে ‘মধু’ অন্যতম। হাজার বছর ধরে এটি মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। শরীরের একাধিক উপকার করে থাকে এ উপাদানটি। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, শীতকালে নিয়ম করে মধু খাওয়া দরকার।
আসুন জেনে নিই শীতকালে মধু আমাদের স্বাস্থ্যের কি কি উপকার করে থাকে —
শীতকালে অনেকেরই শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না, আর এই অলসতার কারনে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। তাই দ্রুত ওজন কমাতে বা শরীরে যাতে মেদ না জমে, তার জন্য নিয়মিত মধু খেতে হবে। সকালে খালি পেটে মধু খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
শীতে সর্দি-কাশি বেশি হয়। এই সর্দি-কাশিতে তুলসীপাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সামান্য গরম পানিতেও মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কয়েকদিনেই কমে যায়। পাশাপাশি শীতে ঠাণ্ডাজনিত কারণে অনেকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। এমন সমস্যায় মধুর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা, মধুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক কার্যকরী। চা কিংবা উষ্ণ পানির সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে কয়েকদিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাওয়া যায়।
শীতে কারো শরীরে পোড়া ও কাটাছেঁড়া হলে সেটা সেড়ে উঠতে অনেক সময় নেয়। এক্ষেত্রে পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে মধু বেশ কার্যকরী। কারন মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শরীরের কোথাও পুড়ে বা কেটে গেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে মধুর পাতলা একটি প্রলেপ দেওয়া হলে ব্যথা কমবে এবং দ্রুত নিরাময় হবে।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা নতুন কিছু নয়। অনেকেরই আবার ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ে। এর সমাধান একটাই- রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ঠোঁটে মধুর প্রলেপ লাগালে ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক দূর হয়। এতে ঠোঁট নরম থাকে এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে মধুর জুড়ি নেই। শীতকালে রোজ সকালে ১ টেবিল চামচ মধু ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। মনে রাখবেন, বছরের যে কোনো সময়ই মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই তো বলা হয়ে থাকে ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’।
সারাবাংলা/এএসজি