সাহাদাত পারভেজের মুন্সিগঞ্জের গণহত্যা বিষয়ক বই
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:২৯
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সুপরিচিত আলোকচিত্রী ও গবেষক সাহাদাত পারভেজের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ: মুন্সিগঞ্জ জেলা’। বইটি প্রকাশ করেছে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার সুবর্ণ প্রকাশনীর ১৫৭-১৬০ নম্বর স্টলে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ২৪টি জেলার জরিপ গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। মুন্সিগঞ্জের জরিপটি তাদের ২৩তম গ্রন্থ।
প্রচলিত ধারণা মতে, মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৩টি গণহত্যার কথা জানা যায়। কিন্তু সাহাদাত পারভেজ দুই বছর ধরে ৩৬৭ বর্গমাইল আয়তনের মুন্সিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি গ্রাম ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তার অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অনেক নতুন তথ্য। এই গবেষণার মাধ্যমে ১৪৫টি গণহত্যা, ৬৫টি গণকবর, ৭টি বধ্যভূমি, ১৭টি নির্যাতন কেন্দ্রসহ মোট ২৩৪টি গণহত্যার নিদর্শন তুলে ধরা হয়।
মুন্সিগঞ্জের গণহত্যার বেশির ভাগই পূর্বপরিকল্পিত। এখানে ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের সৈন্যদের পাঠানো হয় মূলত গণহত্যা পরিচালনার জন্য। মুসলমানদের পাশাপাশি দূরদূরান্তের হিন্দুরা যে বাড়িতে আশ্রয় নেয়; সেগুলো টার্গেট করে গণহত্যা চালানো হয়।
নির্মমতার দিক থেকেও এখানকার গণহত্যাগুলোর একটা আলাদা বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়। কাতারে কাতারে মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে এখানে শুধু মানবতাই লংঘন করা হয়নি; হত্যাযজ্ঞের পর হানাদার বাহিনী রাজাকার পাহারা বসিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। তাই সৎকার তো দূরের কথা, কেউ লাশের কাছেও আসতে সাহস পাননি। ফলে কারো পক্ষে লাশ শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।
এই গবেষণার মাধ্যমে সময়ের অতলে চাপা পড়া এমন অনেক অজানা লোমহর্ষক ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।
‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ: মুন্সিগঞ্জ জেলা’ নতুন বইয়ের মলাট সাহাদাত পারভেজ