সকালটা ছিল একদমই সাধারণ—
রোদে ভেজা শহুরে দিন,
মায়ের হাত ধরে হাঁটছিল সোনামনিটা
স্কুল ব্যাগের ভেতর রঙিন খাতা,
চোখে মুখে ভরা স্বপ্নের হাসি—
“মা, আজ নতুন ছড়া শিখবো!”
কে জানত,
ওই ছড়াগুলোই হবে তার জীবনের শেষ রং?
এক বিকেলেই উল্টে গেলো সমস্ত ক্যানভাস।
সে ফিরলো ঠিকই…
তবে পায়ের শব্দ নয়,
চুপচাপ, ছাই হয়ে, আগুনের আঁচে
জীবনের সমস্ত আলো নিভিয়ে।
তুলতুলে শরীরটা, এখন শুধু পোড়া চামড়ার গন্ধ—
মায়ের কোলজুড়ে এক নীরব মৃত্যু।
মা চেয়ে থাকে—
চোখে ধোঁয়া আর জল,
গলায় একরাশ বোবা চিৎকার:
“কেন আমার ফুলটা পুড়লো?”
“কী অপরাধ ছিল তার?”
এ কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়,
এ রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ছুরি,
অবহেলার আগুনে পুড়ে গেলো
রঙিন প্রজাপতিগুলি।
কে সান্ত্বনা দেবে ঐ মাকে?
কে ফিরিয়ে দেবে সেই হাসিটা—
যেটা হারিয়ে গেছে
স্কুলের পথে, আগুনের আঘাতে?
একটি প্লেন ভেঙে গেছে বলে
ভেঙে গেল শত শত হৃদয়—
পোড়া ইউনিফর্ম, গলে যাওয়া বই,
এমন মৃত্যুতে কবিতাও থমকে দাঁড়ায়।