শরতের সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ
খুললেই মস্ত আকাশ,
ঝলমলে রোদের ছটা জানালা গলে
আলতো করে ছুঁয়ে গেলো
আমায়, নরম অথচ লাজুক
মৃদু-উষ্ণ আলোক ছটা
মনের আকাশে সুর তুলে
গেলো গভীর মায়ায়!
জানালা গলে দুরে তাকিয়ে দেখি
একটা ধানশালিক,
কিচির-মিচির করে দুরে দাঁড়ানো ওরই
এক বন্ধুকে ডেকেই চলেছে-
কি নির্মল পবিত্র বন্ধুত্বের আহবানে
গাঁটছড়া বেঁধেছে ওরা,
মনের ভেতরটায় আজ দেখি
আলোর নাচন!
পিপাসিত বুক জলের আর্তি জানায়,
আমি অপার হয়ে পান করি
প্রকৃতির রঙ, রূপ, গন্ধ-
মাথার উপরের আকাশ, মৃদু-মন্দ
ফিসফিসিয়ে কথা বলা বাতাস,
সাতসকালে হরেকরকম
পাখির গান, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের
অনাবাদি জমি,
সমস্ত সুধা পান করে আমি
হয়ে যাই প্রকৃতির অংশ!
শীতের শুরুতে নলেন গুড়ের সাথে
মায়ের হাতের পিঠাপুলির যে
সরেস মাখামাখি,
সবুজ দূর্বাঘাস, মাচায় জড়ানো
লকলকে পুঁইপাতার নির্মল যে
নীরব চাহনি,
হেমন্তের হালকা হিমহিম কুয়াশায়
ঢাকা ভোরের সাথে ওমের যে
গাঢ় নিবিড় মমতা,
তোমার সাথেও আমার তাই ই!
লেখক: ব্যাংক কর্মকর্তা