কবি মজিদ মাহমুদ, পৃথক হতে হতে আলাদা
২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৮
খুব সহজে কেউ কবি হয়ে ওঠেন না কবিকে তৈরি হতে হয়; এই প্রস্তুতির কাল তার বেড়ে ওঠার সময়ের প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে ডালপালা ছড়ায়। এবং এসবের সাথে ঢুকে পড়ে সামাজিক ঐতিহ্য, পুরাণ ও ইতিহাস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবনাসমূহ। কবিকে পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, রাষ্ট্র থেকে আলাদা করতে থাকে তার অনুভব। কখনও কখনও তিনি সামাজিক হয়েও সমাজের দেওয়ালের বাইরে পা রাখেন; কখনও-বা রাষ্ট্রের ভেতরে থেকেও হয়ে পড়েন রাষ্ট্রদ্রোহী। কিংবা স্রেফ দেশপ্রেমিক থেকেও কাউকে কাউকে কবিতার চাষ করতে হয়। কিন্তু একজন কবি সবসময় তার দায়িত্ববোধকে সমুন্নত রাখেন মানুষের পক্ষে, প্রাগ্রসর চিন্তার পক্ষে, সর্বোপরি অমিত কল্পনা ও পরিকল্পনার পক্ষে। তাই কবিকে বুঝতে হলে উদারভাবে জগৎ-সংসারকে অনুধাবন করতে হয়।
বাংলাদেশের কবি মজিদ মাহমুদ প্রাতিস্বিক বলয়ে বিচরণ করেও তার কাব্যসম্ভার নিয়ে হাজির হতে পেরেছেন অন্যদের কল্পনা-প্রহরে। এখানে যেমন রয়েছে ঐশ্বরিক প্রেরণা বা দান, তেমনই পাওয়া যায় পরিশীলিত অনুশীলনের ছোঁয়া। তিনি সত্যিকার অর্থে সকল সম্ভাবনাকে আলোর পথে, ভালোর পথে প্রবাহিত করতে চেয়েছেন কবিতার কথায় ও কারুকাজে।
বল উপাখ্যান নিয়ে প্রায় ২ দশক আগে বাংলা কবিতার ‘পুস্তক-সমর্থিত-ভুবনে’ মজিদ মাহমুদের যাত্রারম্ভ। ধরা যেতে পারে যে, বলবিদ্যা তার এক ধরনের আরাধ্য বিষয়; তিনি যেন খেয়ালি খেলা খেলতে চান জাগতিক-অজাগতিক বল নিয়ে। তো, কেমন সেই বল নিয়ে খেলা? কোন বলের কথা বলছেন মজিদ? পদার্থের বল, খেলার বল, মানসিক বা দৈহিক শক্তি কিংবা সামর্থ্য? না-কি জাদু করতে চেয়েছেন পাঠককে? ‘প্রথমে একটি গোল অথচ নিরাকার বলের মধ্য দিয়ে/ গড়াতে গড়াতে আমি তোমার শরীর থেকে পৃথক হয়ে গেলাম’ (বল উপাখ্যান-এর নামকবিতা) এই কথা বলেই কি কবি মজিদ ম্যাজিক দেখাতে শুরু করলেন? কিংবা এমনও হতে পারে তিনি ঐশ্বরিক কোনো ধারণাকে ধারণ করতে গিয়ে পড়েছেন কবিতার মতো কোনো শিল্পের শৈলীগত শূন্যতায়? অন্তত প্রথমপর্বের একটি কবিতায় সে রকম ইঙ্গিতও চোখে পড়ে-
‘হে পয়গম্বর বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী
তোমরা যারা খাদ্য এবং সঙ্গমের ভয়ে সন্ত্রস্ত
মনে রেখ, এই শূন্যতা থেকে তোমরা
উৎপন্ন হয়েছ, এই শূন্যতায়,
তোমাদের বিলীন, আবার শূন্যতায়
পুনর্জীবন দেওয়া হবে।’
(‘পহেলা ভাদ্র’: বল উপাখ্যান)
ওই যে পৃথক হওয়ার গল্প জুড়ে কবি মজিদ ম্যাজিক দেখাতে চাইলেন, সেটাই কিন্তু তার একমাত্র পৃথক-হেতু-যন্ত্রণা নয় এর পরেও তিনি ছিন্ন হয়েছেন। ভিন্ন এক পরিসরে সাজিয়েছেন সে-গল্প ‘আমার বয়স থেকে এক যুদ্ধ আমাকে আলাদা করে দিল/ আমি সেই স্বপ্নাতুর কৈশোরে রয়ে গেলাম।’ (‘যুদ্ধ’ : আপেল কাহিনি) আর এভাবেই বোধকরি কবি মজিদ সমাজের ভেতরে বসবাস করেও ভেতরে ভেতরে প্রাচীরের বাইরে নিজের জগৎ নির্মাণ করতে থাকেন। তাকে ওই কাজটি করতে হয়েছে কবিতার কব্জায় পড়ে কিংবা কবিতার শৈলীকে কব্জা করতে গিয়ে। আর এইসব ম্যাজিক তার কবিতার পথে বিস্তৃত হয়েছে কালে কালে। সময় তার কবিতাকে ছড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার আর খোলা চোখে ঘোলাপ্রহর খুঁজে দেখার পথে শৈশবে শোনা সেই জাদুর বাক্সের অভিমুখে হয়তো। কখনও পৃথক হওয়া, আলাদা হওয়া কবি মজিদ মাহমুদ আবার হয়তো ফিরতে চেয়েছেন পেছনে
‘হায়! প্রভু আরও কী সইতে হবে এমন
জীবন ধারণের অপরাধ তবে কী
কখনও চেয়েছি কী [কি] ফিরে যেতে’
(‘স্মৃতির যাতনা’: গোষ্ঠের দিকে)
চারপাশে এই যে আলাদা আলাদা খেলা, এই যে বিচ্ছিন্নতা ও সম্বন্ধ এসবের ভেতর দিয়ে একজন কবিকে ম্যাজিক লণ্ঠন নিয়ে হাজির থাকতে হয়। কবি বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন; বারবার ফিরে আসেন নিজস্ব বিবরে। মজিদ মাহমুদকেও তার অস্তিত্ব ও ছিটকেপড়ার বেদনাকে ধারণ করে শিল্পের সাধনা করতে হয়েছে করতে হয়। কুড়ি আঙুলের ইশারায় ও ভরসায় তাকে কলম চালাতে হয় কোনো নিরুদ্দেশ ডাকে। একটি বিবরণ থেকে খানিকটা পাঠ নেওয়া যেতে পারে-
‘আমার চার টুকরো হাত পড়ে ছিল তোমাদের ভোরের বাগানে
আমার কুড়িটি আঙুল গভীর আনন্দে স্পর্শ করেছিল
আমার মা ও স্ত্রীর স্তন
আমার দশটি আঙুল জন্ম নিয়েছিল আমার স্ত্রীর প্লাসেন্টার ভেতর
দশটি আঙুল এনেছিলেন আমার মা গভীর ভালোবাসায়
গতকাল সাপ্তাহিক প্রার্থনা শেষে তোমরা তাদের আলাদা করে ফেললে।’
(‘কুড়িটি আঙ্গুল’: ধাত্রী ক্লিনিকের জন্ম)
কবিতার ম্যাজিক কি? শুরু করা, না-কি শুরুর জায়গায় পুনরায় এসে শেষ করা? বিশ্বাস-অবিশ্বাসের যে খেলা প্রতিদিন চলছে মানুষের মনে এবং প্রয়োজনে, তাকে জানতে ও মানতে গিয়েই তৈরি হয় দর্শন ও সভ্যতার সমাচার। কবিরা নিজেকে ওইসব তত্ত্ব থেকে কখনও দূরে রাখেন, কখনও নিজ খেয়ালে আসেন অতি নিকটে। মজিদ মাহমুদের কবিতায় দেখা যায়, ঈশ্বর বিষয়ে ইতি-নেতির দোলাচলতা। জীবনের দৌড়কে তাই তিনি মিলিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছেন ধর্ম ও দর্শনের ছোটাছুটির খেলায়। কারণ, তিনি জানেন ‘… একজন দৌড়বিদ/ যেখান থেকে শুরু করেন, দৌড় শেষে তাকে/ সেখানেই ফিরে আসতে হয়।’ (‘দৌড়’ : সিংহ ও গর্দভের কবিতা) অথবা তাকে লিখতে হয় ‘মানুষ একদিন গুহা থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজ জীবনে/ মানুষ আবার ঢুকে গেছে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের কোণে।’ (‘গুহা’: অনুবিশ্বের কবিতা)
কবিরা কখনও কখনও নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করে ফেলেন; কখনও নিজেকে ভাবেন আলাদা। আবার কোনো কোনো মানুষ কবিকে ভেবে থাকেন ভিন্ন কিছু সাধারণের চেয়ে পৃথক মানুষ। কিন্তু কে স্বাভাবিক আর কে অস্বাভাবিক? কে সামাজিক আর কে অসামাজিক? কে কার থেকে পৃথক? কে করেছে পৃথক? কবিতাচর্চার মধ্যপ্রহরে মজিদ মাহমুদকেও কবিতার এই ম্যাজিক আক্রান্ত করে বসে। তখন কবিতার সংজ্ঞা দেওয়ার মতো করে তিনি লেখেন ‘কবির কবিতা তোমার জন্য নয়/ সে তো কবির অসুস্থ হৃদয়। ’ (‘কবিতা’ : অনুবিশ্বের কবিতা)
প্রথম থেকেই পৃথকচেতন কবি মজিদ মাহমুদ তার কবিতায় পৃথকীকরণসূত্র সাজিয়েছেন বাক্যে ও কাব্যে, চিন্তায় ও কল্পনায়; তিনি প্রেয়সীকে দূরে সরে যেতে দেখেছেন অথবা নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন আরাধ্যের কাছ থেকে। তার আরাধ্যেরা হয় আসে না কিংবা এলেও চলে যেতে চায়। তাহলে কি আলাদা হওয়ার অসুখটা এই কবিকে সারাটা জীবন ধরে আঁকড়ে থেকেছে? তা না হলে কেন তাকে লিখতে হচ্ছে এইসব পংক্তি-
১. ‘অবশেষে তুমি আর এলে না
সাড়ে চার ঘন্টা বিলম্ব করে চলে গেল রাত্রির ট্রেন
তিন কুড়ি বছর পরে কেমন আছেন?’
(‘কেমন আছেন’ : মাহফুজামঙ্গল)
২. ‘তুমি চলে যাবে?
তুমি চলে যাও মাহফুজা
কাঙালের মতো আর বাড়াব না হাত’
(‘কেন তুমি দুঃখ দিলে’: মাহফুজামঙ্গল)
কোনো এক মাহফুজাকে তিনি কল্পনা করেছেন ‘বন্যহস্তিনী ও মরুভূমিতে ছুটেচলা মাদি ঘোড়ার মতো’ অথবা ‘ঝরে পড়া বিদ্যুৎ আর অগ্নিদগ্ধ আকাশের মতো’। সেই মাহফুজার কাছে প্রার্থনা করেছেন স্পর্শ ও অপার আলিঙ্গন। মাহফুজাকে পাওয়ার জন্য কিংবা নির্বাণ লাভের আশায় নিমগ্ন কবি মজিদ অনুভব করেন সরে যাওয়ার অথবা পৃথক হওয়ার প্রয়োজনীতা-
‘এবার আমাকে পতঙ্গের মায়া থেকে সরিয়ে নাও
তুমি অনন্তশিখার মতো অবিনশ্বর জ্বালতে জ্বালতে
আগুনের পাশে আমাকে বসিয়ে রাখতে রাখতে
আমার ভেতর এক অদ্ভুত আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছ’
(‘আলিঙ্গন করো’ : মাহফুজামঙ্গল)
কবিরা মঝে-মধ্যে পৌঢ়ের মতো আচরণ করেন। চলতে-ফিরতে তারা কখনও কখনও জীবনকে মনে করেন কোনো যানবাহন যেটায় চড়ে লোকেরা অনায়াসে পাড়ি দিতে পারে অপার জীবন। আবার জীবন কোনো কোনো সময় সম্মুখে নয় পশ্চাতে চলে; কবিরা জানেন সে-কথা! মজিদ যেহেতু কবি, তাই তিনিও সম্মুখপানে চলার পাশাপাশি পেছনের দিকেও চলার আহ্বান অনুভব করেছেন। ‘পৃথিবী এক খেয়া যান ভিন্ন তো নয়’ বলে কবি মজিদ মাহমুদ ফিরে যাওয়ার গল্প জুড়ে দেন এ-ও যেন পৃথক কিংবা আলাদা হওয়ার বাসনা ‘এবার আমাদের চলে যেতে হবে পিতার সংসারে’ (‘উল্টোরথ’ : মাহফুজামঙ্গল উত্তরখণ্ড)
মানুষ, সত্যিকারভাবেই, আলাদা হতে থাকে; পৃথক হতে থাকে তার শৈশব-কৈশোর থেকে স্মৃতির অ্যালবামে সাজাতে থাকে জীবনের ফেলে-আসা সময়ের ডাল ও পালা। সেইসব ডালে থাকে পাখিদের আনাগোনা; ওইসব পালায় গেঁথে যায় পৃথক হওয়া মানুষের বিবরণ। কী করে যেন চিরদিনের গ্রামকে ঝেড়ে ফেলতে না পারার যাতনায় কাতর হন কবি মজিদ মাহফুজাকে মনে করে কি? নাকি কোনো এক সকালবেলাকার তালপাতা তাকে ডেকে নিয়ে চলে অবিরত? কে জানে সে-কাহিনি? মানুষ সত্যি একদিন, পৃথক হতে হতে আলাদা হয়ে পড়েন মজিদ লিখেছেন-
১. ‘যদিও সেই তালগাছটি আজ নেই
আমরাও আর গ্রামে ফিরি না…’
(‘তালগাছ’: গ্রামকুট)
২. ‘তবু তারা জেনে গেছে মুত্যুর পথ বিচ্ছেদে
তারপর একদিন টুকরো টুকরো
অসংখ্য মাটির পুতুল হয়ে
ফিরে যাবে উৎসের সন্ধানে।’
(‘পুতুল পাখি’: গ্রামকুট)
পরিচিত পথ ধরে হেঁটেছেন কবি মজিদ মাহমুদ। দেখেছেন দু’ধারের চলমান ও মৃত দৃশ্য। পিতা কিংবা পিতামহরা যে-পথে মহড়া দিয়েছেন বলে সকলের জানা, তার থেকে আলাদা পথের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত করার ব্যাকুলতা যে তাকে কাঁদায়নি কখনও, তা নয়; কাঁদিয়েছে সকালে ও সন্ধ্যায়। ঐতিহ্যের বিপুল বারান্দায় তিনি দাঁড়িয়েছেন কোনো কোনো অবকাশে ও অবসরে। ‘অভ্যাস থেকে কিছুতেই আমরা বেরুতে পরছি না’ বলে বলে তিনি আবারও পৃথক হতে চেষ্টা করেছেন। জমির ওপর মানুষের অধিকার কিংবা নজরুল ও জীবনানন্দের আক্ষেপের কথা ভেবে ভেবে কিছুটা সময় হয়তো তিনি পার করেছেন খুব আরামে ও আনন্দে পানি ও মদকে হয়তো আলাদা করতে পারেননি (‘আমি পানি খাই মদের মতো’) কিংবা দাদির জীবন মনে করে দুঃখ পেয়েছেন খুব, অথবা লিখতে চেয়েছেন কোনো বিতর্কিত কবিতা কিন্তু বেলাশেষে বুঝেছেন ঠিকই ‘নৃত্যে জাগে মহাবিশ্ব’। পৃথিবীর সকল কোলাহল থেকে কবি মজিদ নিজেকে পৃথক করে নিয়েছেন অনুভবের অসুখে-
‘বেলা বয়ে গেল পড়ন্ত বিকাল
মন্দিরে আজ সন্ধ্যার শাঁখ
মুসল্লিরা মসজিদে গেছে
শুনে মুয়াজ্জিনের কল্যাণ ডাক’
(‘বরণ’: দেওয়ান-ই-মজিদ)
মজিদের কবিতায় একাকিত্ব আছে; চমৎকারিত্ব আছে; দার্শনিকতা আছে। মজিদের কবিতায় অ-কবিতার প্রভাব আছে; গ্রাম আছে; সরকার ও রাজনীতি আছে। তার কবিতায় কিতাবের কথা রয়েছে; বাদ দেননি তিনি ক্রসফায়ারের অহেতুক গল্পের কথাও (‘আর ক্রসফায়ার অন্ধ বিচারকের রায়’)। তার কবিতায় প্রেম আছে; মগ্নতা আছে। হতাশাবাদ, রাজাতত্ত্ব কিংবা আমলা ও সুন্দরবন ছাড়িয়ে মজিদ পৃথক হয়ে পড়েছেন নিজের আবির্ভাবকাল থেকে; অস্তিত্ব ও সংগ্রামের দুনিয়ায় মনে মনে ভেতরে ভেতরে কবিতাকে আশ্রয় করে মজিদ আলাদা হয়ে পড়েছেন চিরচেনা জনজীবন থেকে। ‘শুঁড়িখানার গান’ শুনতে শুনতে সমকালের ভয় পেরিয়ে নতুন বছরের ‘হেলায় খেলায়’ দুঃখকে অনায়াসে বিজয়দিনের কবিতা বানিয়ে পা চালিয়ে কবি মজিদ ‘ছুরি-বটি’ আর ‘গোলাপ নীলের ছড়াছড়ি’কে পৌঁঁছে দিতে পেরেছেন ‘সমীরণজেঠুর বারান্দায়’। বারান্দার বাইরে যে আশ্রয় ‘সাগরে নগরে’, ‘কুকুর’ কিংবা ‘গ্লাসের ঠোঁট’ যেখানে ‘অলীক ফুৎকার’, সেইসব জায়গায় কবিতার ‘বায়োস্কোপ’ নিয়ে যেন আলাদাভাবে একা, ‘হাজার সালের প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রত্যয়ে মজিদ গেয়েছেন ‘জীবনের গান’। আর আলাদা হতে গিয়েই তিনি টের পেয়েছেন ‘যদি মৃতদের জগত পরিভ্রমণ শেষে কোনোদিন ফিরে আসে/ সেদিনের প্রয়োজন হয়তো রয়ে যাবে শেষে’ (‘ঘুমে না জাগরণে’ : লঙ্কাবি যাত্রা)।
সারাবাংলা/এসবিডিই
ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ কবি মজিদ মাহমুদ- পৃথক হতে হতে আলাদা প্রবন্ধ ফজলুল হক সৈকত সাহিত্য