এক ঠোঙা দুঃখ বনাম এক জীবন সুখ
২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২১
দুঃখী যন্ত্রণার বিবর্ণ সাইনবোর্ড দেখে,
যে ক্রেতা পাংশু চোখে মুখ ফিরিয়ে ফেরত গেল,
তাকে বরং যেতেই দিও।
দুঃখ কিনে বাড়ি ফেরার যথাযোগ্য মনোবল তার নেই।
তাকে বরং ফিরতে দিও।
সে হয়ত রঙীন সুখের মৌসুমী ক্রেতা,
সুখের চকচকে সাইনবোর্ড লাগানো দেখলেই,
তখন দলে বলে ভীড় জমায় জনতা।
তাদের কাছে বরং দুঃখের দোকান আড়াল করে,
শুধু সুখটাই বিক্রি কোরো জোরেসোরে।
দুঃসময়ে ক্রেতার ধরণ না হয় চিনেই রেখো।
দুঃখের সাইনবোর্ড খুলে সুখের
ঝাঁ চকচকে সাইনবোর্ডটাই ঝুলিয়ে রেখো,
আদতে সুখের পসরাই বিকে ভালো।
দুঃখ সে-তো মূল্যহীন, অবিক্রিত পড়ে থাকে
বুকে নিয়ে সমস্ত আঁধার কালো।
বেচাকেনার দাঁড়িপাল্লায় ব্যাথার ওজন বেশ,
সুখ সে তো খানিকের, হাওয়াই মিঠাই রেশ।
দুঃখ কিনে ভার বইবার এত সাহসই বা আছে কার?
সুখের হাওয়ায় ভাসিয়ে সময়, উড়ুক না ক্ষণ, জগত সংসার!
তবু দুঃখের সাইনবোর্ড দেখেও
অগোচরে যে ক্রেতা এক ঠোঙা দুঃখ কিনতে এসেছে
দুঃখকে ভালোবাসার অদম্য দুঃসাহস নিয়ে,
তাকে তুমি যেতে দিও না, পুরষ্কার দিও।
এক ঠোঙা দুঃখ কিনতে চাওয়ার বিনিময়ে,
তাকে বরং এক জীবন সুখ দিয়ে দিও।
সারাবাংলা/এসবিডিই
ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ এক ঠোঙা দুঃখ বনাম এক জীবন সুখ কবিতা শানারেই দেবী শানুর কবিতা 'এক ঠোঙা দুঃখ বনাম এক জীবন সুখ' সাহিত্য