যত বড় চাকুরে, তত বড় চাকর
৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৪
মেয়ের বাবা সাবেক কাস্টমস অফিসার
মা ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের টিচার
আর আপন চাচা, একজন সরকারি আমলা। ঢাকায় তার তিন-চারটা ফ্ল্যাট, দুটি গাড়ি। বারিধারায় প্লটও আছে। বেতনের টাকায় হাত দিতে হয় না মোটেও।
বড় ভাই, বিসিএস ক্যাডার
ছোট ভাই, ডাক্তারি পড়ছে
দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন- এই মেয়ে
দেখতে সুন্দরী-স্মার্ট; কলেজ ছেড়েছে সবে
কথাগুলো শেষ করে একটু থামলেন ঘটক চাচা
অতঃপর বললেন- শুনেছি, আপনার ছেলে এমএ পাশ
তো, চাকরি-বাকরির কী খবর?
মুহূর্তেই মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল ছেলের বাবার
চোখ নামিয়ে আমতা আমতা করে বললেন- না মানে, মানে এখনও বেকার…।
পেছন থেকে মা একটু গলা খাকরি দিয়ে বললেন- না ঠিক বেকার নয়; চাষবাস করে আরকি…।
কী, চাষা! – অবাক হয়ে চোখ গোল করে বললেন ঘটক চাচা।
এমএ পাশ চাষা! ছিঃ…। ওই ঘরের সঙ্গে কী আপনাদের ছেলে যায়…?
এমন সময় মাঠ থেকে ফিরল ছেলে-
ঘর্মাক্ত দেহ, খালি পা, কোমরের গামছায় বাঁধা কাস্তেখানা
রুক্ষ্মস্বরে বলল, শালা! যত বড় চাকুরে, তত বড় চাকর।
আমি স্বাধীন। নিজ জমিতে ফলাই সোনালী ফসল। সভ্যতার শুরু থেকে আজও বুনে যাচ্ছি- জীবনের বীজ।
মুহূর্তেই ঘটক ভোল পাল্টে বললেন,
তাই তো, তাই তো। বাহ্, বাহ্। এই কারণেই লোকে তোমাদের সোনার ছেলে বলে।
এমন ছেলে জন্মাক যেন ঘরে ঘরে।
সারাবাংলা/এসবিডিই