Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বইমেলায় বনানী রায়ের ‘শকুন্তলা’ ও ‘স্রোতস্বিনী জীবন-২’


৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩০

২০২৪ এর অমর একুশে বইমেলায় ঔপন্যাসিক বনানী রায়ের দুইটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ভাষাচিত্র প্রকাশ করেছে ‘শকুন্তলা’ এবং সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে এসেছে ‘স্রোতস্বিনী জীবন-২’।

শকুন্তলা _

সন্তানের আগমন সংবাদ শুনে মা-বাবার সুখী হবারই কথা। অথচ কী দুঃখিনী শকুন্তলা! মাতৃগর্ভে আসার খবরে আনন্দিত হননি তার পিতা-মাতা। পিতা বিশ্বামিত্রের মনে পড়ে যায় প্রেমের ছলনা দ্বারা তপস্যাচ্যুত হওয়ার কথা। তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন শকুন্তলার মাতা অপ্সরা মেনকার দিক থেকে। দেবরাজ ইন্দ্রের আদেশে বিশ্বামিত্রের কঠোর সাধনা ভঙ্গের দায় নিতে বাধ্য হয়ে নীরবে চলে যায় মেনকা।

জন্মের পর কন্যাকে মালিনী নদীতীরে প্রকৃতির কোলে রেখে স্বর্গে ফিরে যান মা মেনকা। জন্মের গ্লানি নীরবে বুকে লালন করে মালিনী নদী তীরবর্তী বনের একপাশে গড়ে ওঠা আশ্রমে বড় হয় অপ্সরা কন্যা শকুন্তলা। অপরূপ রুপবতী এই নারীর সারল্য ও কোমল ব্যবহারে আকৃষ্ট হয় সকলে। বনের বৃক্ষ ও পশু-পাখি সবাই তার মায়ায় জড়িয়ে যায়।

সেই বনে একদিন শিকারে আসে পরাক্রমশালী রাজা দুষ্মন্ত। শকুন্তলা দর্শনে শিকার ভুলে প্রেমে মগ্ন হয়ে পড়েন। তার প্রেমের জোয়ার ভাসিয়ে নেয় শকুন্তলাকেও। সকলের অগোচরে বিয়ে হয় তাদের, একে অপরকে গ্রহণ করে তারা। শকুন্তলাকে রাণীর মর্যাদায় রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান স্বামী দুষ্মন্ত।

তারপর…দুর্বাসার অভিশাপে দুষ্মন্ত বিরহে কাটতে শকুন্তলার দীর্ঘ দিবস রজনী। অসম্মান আর অপমানের অনলে দগ্ধ হতে থাকে সে। প্রতীক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়…

বনানী রায়ের ‘শকুন্তলা’ পাওয়া যাচ্ছে এবারের বইমেলায়, ভাষাচিত্র’র ৩৩ নম্বর প্যাভেলিয়নে।

বিজ্ঞাপন

স্রোতস্বিনী জীবন-২ _

পারিবারিক আবহে উপন্যাসটির শুরু। চারুলতাকে ঘিরে ডাক্তার স্বামী রূপ ও কিছু প্রিয় মানুষ এবং আরও কিছু চরিত্র। বিয়ের আগে স্বাধীনভাবে কিছু করার স্বপ্ন দেখত চারুলতা। তারই ধারাবাহিকতায় বিয়ের পর স্বামীর কর্মস্থলে স্থানীয় গরিব ও দুঃস্থ পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নেয়। আর তা করতে গিয়ে এলাকার কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের বাধা ও চক্রান্তের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

এ পর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হলেও, তা ক্ষণস্থায়ী হয়। তাদের গভীর প্রেমময় সম্পর্ক এবং পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ সে ভুল বোঝাবুঝিকে ভাসিয়ে নেয়। কাহিনীর শেষপ্রান্তে এসে একটি ঘটনার আকস্মিকতায় রূপ ও চারুর দাম্পত্য জীবন বড় রকম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। সেসময় চারু দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আত্মসম্মানবোধকে। প্রেমের জন্য সে কিছুতেই আর আপোস করে না। উপন্যাসের নায়িকা চারু হয়ে ওঠে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীক।

স্রোতস্বিনী জীবন-২ বইটি পাওয়া যাচ্ছে এবারের বইমেলায়, সুবর্ণ’র ২৪২-২৪৪ নম্বর স্টলে।

সারাবাংলা/এসবিডিই

বইমেলায় বনানী রায়ের ‘শকুন্তলা’ ও ‘স্রোতস্বিনী জীবন-২’

বিজ্ঞাপন

সিইসি ও ৪ কমিশনারের শপথ আজ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৩

আরো

সম্পর্কিত খবর