সোনালী আঁশ ও সোনার বাংলা পরিপূরক: কৃষিমন্ত্রী
১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০০
ঢাকা: সোনালী আঁশ ও সোনার বাংলা পরিপূরক বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সোনালি আঁশ (পাট) ও সোনার বাংলা একে অপরের পরিপুরক। সোনালী আঁশের সম্ভাবনাতেই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর সম্মেলন কক্ষে ‘পাট গবেষণার অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে ৭০ ভাগ থেকে শতকরা ১৪ ভাগে নেমে এসেছে। কিন্তু জিডিপিতে কমলেও এখনো দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে কৃষিখাতের অবদান অনেক বেশি।
তিনি বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শিল্পায়ন হচ্ছে। জিডিপিতে বাড়ছে শিল্পের অবদান। একসময় রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগই আসতো পাট, চা ও চামড়া থেকে। এখন রফতানি আয়ের বেশিরভাগই যোগান দেয় পোশাকশিল্প।
অতিরিক্ত উৎপাদন সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে এ বছর ১ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন আমন আবাদের লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ মেট্রিক টন। এতে বাজারে ধানের দাম কমে গেছে। মিলাররা ধান কিনছে না। চাহিদা ৭০ লাখ মেট্রিক টন থাকলেও আলু উৎপাদন হয়েছে ১কোটি ৩ লাখ মেট্রিক টন। প্রয়োজন না থাকলে এতো ধান ও আলু উৎপাদনের দরকার নেই।
উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যে প্রযুক্তি এসেছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে অবশ্যই মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করা যাবে। রফতানি বহুমুখীকরণেও কৃষিখাত বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, উদ্ভাবিত পাট পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণে বিশেষ তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে একটি বড় কর্মশালা আয়োজন করা দরকার। এতে পাটজাত দ্রব্যের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে। আধুনিক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে বিজেআরআইয়ের উদ্ভাবিত পাটপণ্যের দাম কমিয়ে রফতানিমুখী করতে পারলে পাটের সুদিন ফিরে আসবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, পাটের এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে কম সময়ে যার ফলন বেশি এবং সারা বছর চাষ করা যায়।
সভাপতির বক্তব্যে কষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর চাহিদা পূরণে ৬হাজর মেট্রিক টন পাট বীজের ৫হাজার মেট্রিক টনই আমদানি করতে হয়। আমাদের দেশে পাট বীজ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় জায়গা নেই এবং সময়ও লগে বেশি। তাই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে সীমান্ত এলাকায় তাদের জমি লীজ নিয়ে পাটবীজ উৎপাদন করলে আমদানি নির্ভরতা অনেক কমে যাবে।
গত ১০ বছরে পাট গবেষণার সাফল্য ও কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান । এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজেআরআইয়ের জেটিপিডিসি উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
সারাবাংলা/ইএইচটি