রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর কালুখালীতে স্ত্রীকে ওষুধ আনতে পাঠিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলাউদ্দীন শেখ (৫০) নামের এক ব্যক্তি। পরিবারের দাবি নানা শারীরিক জটিলতা, দৃষ্টি হারানো ও দীর্ঘমেয়াদি কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গোতমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিন শেখ ওই গ্রামের মৃত কুরমান শেখের ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
জানা যায়, একসময় বাড়ির পাশে ছোট্ট মুদি দোকান করে জীবিকা চালালেও স্ট্রোক করে শরীরের এক পাশ প্যারালাইজড হওয়ার কারণে বর্তমানে বাড়িতেই শুয়ে থাকতেন তিনি। তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আলিফ শেখ দোকান পরিচালনা করতো। আলাউদ্দীন শেখ জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী, তার একটি পা চিকন। এছাড়া তিনি এক বছর আগে স্ট্রোক করেছিলেন, যার ফলে শরীরের এক পাশ প্যারালাইজড (অবশ) হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি তার একটি চোখেও সমস্যা দেখা দেয়। চোখ অপারেশন করা হলেও তিনি চোখে দেখতে পান না। এসব কিছু মিলিয়ে তিনি মানসিক কষ্টে ছিলেন।
আলাউদ্দীন শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ‘সকালে আমি তাকে ভাত ও রুটি খাইয়েছি। তার মাথায় পানি দিয়েছি। পরে তিনি আমাকে বললেন তার হার্টের সমস্যা বেড়েছে, আমি যেন ওষুধ এনে দেই। দুপুরে তাকে ঘরের বারান্দায় চৌকিতে শুইয়ে রেখে আমি বাজারে হার্টের ওষুধ আনতে যাই। ওষুধ নিয়ে বাড়ি এসে দেখি তিনি বারান্দার বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’