পটুয়াখালী: বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কিশোরী উর্মী ইসলামকে (১৪) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার বাবা-মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর।
তিনি বলেন, তদন্তে হত্যার মূল কারণ বেরিয়ে আসে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত কিশোরীর বাবা মো. নজরুল ইসলাম, মা আমেনা বেগম ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে পুলিশ আটক করে। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিশোরীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরদিন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারকের সামনে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, নিহত উর্মী ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সদস্যরা তার গলাটিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই উর্মীর মৃত্যু হয়। পরে বাবা-মা ও ভগ্নিপতি মিলে মরদেহ গুম করে খালে ফেলে দেয়। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর উর্মীকে গুম ও খুনের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন নিহত কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম। তবে পুলিশের একাধিক ইউনিট তদন্ত শুরু করলে আসল তথ্য বের হয়ে আসে।
বাউফল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়। এরপর বিভিন্নভাবে তদন্ত চালাই। একপর্যায়ে কিশোরীর মা, বাবা ও দুলাভাইয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরে প্রমাণ হাতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার মূল রহস্য স্বীকার করে।”