পটুয়াখালী: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গঙ্গামতি সৈকত এলাকায় প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি স্থানীয় ট্যুর গাইডরা প্রথম দেখতে পান। ডলফিনটির মাথা ও শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন এবং চামড়ার ক্ষতি লক্ষ্য করা গেছে।
খবর পেয়ে কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সদস্যরা বিষয়টি উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা) এর সদস্যদের জানান। পরে বন বিভাগ ও কুয়াকাটা পৌরসভার সহায়তায় মৃতদেহটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
উপরা’র আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু বলেন, ‘সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং বন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। ধারণা, এটি ভোরের জোয়ারে সৈকতে ভেসে এসেছে। ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন সাধারণত বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র উপকূলে দেখা যায়।’
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘চলতি বছরই অন্তত ১০টি ডলফিনের মৃতদেহ এ উপকূলীয় এলাকায় ভেসে এসেছে। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করুক।’
বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে মৃত ডলফিন ভেসে আসা পরিচিত ঘটনা। আমাদেরও সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী ডলফিন সংরক্ষণ রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান জানান, ‘খবর পাওয়ার পর দ্রুত ডলফিনটির মৃতদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে, যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।’
স্থানীয়রা বলছেন, একের পর এক ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসা উপকূলীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও জটিল হতে পারে।