ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি না দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে বাহিরদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে লুৎফর ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান হেমায়েত হোসেনের অনুসারীরা। চাবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথাকাটাকাটি, পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
রাতে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ, স্থানীয় আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’