রংপুর: জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা বিশ্বের কাছে স্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশির।
বৃহস্পতিবার (১৬, অক্টোবর) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলকে উত্তরবঙ্গের বিদ্যাপীঠ শহিদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান উপাচার্য। তিনি অতিথিদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট রুমে আয়োজিত এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দুই দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশির সহধর্মিনী জাহারা চাভোশিসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা বিশ্বের কাছে স্মরণীয়। তার ক্যাম্পাসে আসতে পেরে আনন্দিত।
তিনি জানান, ইরানে বেশ কয়েকটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ইরানের এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারবে। বেরোবি উপাচার্য ইরানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে একাডেমিক সংযোগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলে ইরানি রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ করেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম উন্নত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরিচালনার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময়ে যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি, যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও প্রকাশনা কার্যক্রম পরিচালনা, একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন ও শিক্ষামূলক বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইরানের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলকে স্মারক উপহার প্রদান করেন।