Thursday 23 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানে শাটডাউন, এবার চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৪৮ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৫০

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন আন্দোলন তৃতীয় দিনে নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিভাগে বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলনকারীরা এবার বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি যুক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা ‘দফা এক দাবি এক, চেয়ারম্যান পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, চেয়ারম্যান তুই গদি ছাড়’, ‘বহিরাগত চেয়ারম্যান মানি না, মানবো না’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক, সিন্ডিকেট মুক্তি পাক’সহ নানান স্লোগান দেন।

বিজ্ঞাপন

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমন বলেন, ‘আমাদের বিভাগের বর্তমান অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে সার্টিফিকেট থাকলেও ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা এমন পরিস্থিতিতে থাকবেন না। আমরা প্রতীকী আন্দোলন হিসেবে এক হাতে সার্টিফিকেট আর এক হাতে মুলা ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরও যৌক্তিক দাবির জন্য টানা তিন দিন রাজপথে থাকা দুঃখজনক। আমাদের ডিপার্টমেন্টের যথেষ্ট কোয়ালিফায়েড শিক্ষক নেই। যদি অন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে শিক্ষক আনা হয়, তাহলে এই বিভাগের অস্তিত্বের প্রশ্ন ওঠে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবি মেনে নেওয়াটা প্রশাসনের দায়িত্ব।’

অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, ‘গত পরশু আমি ছুটিতে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে গতকাল উপাচার্যের কাছে আলোচনা করেছি। বেশিরভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে সাবজেক্ট কোড সম্পর্কিত বিষয় পিএসসি ও ইউজিসি-র নিয়ন্ত্রণে, তাই চেয়ারম্যান বা উপাচার্য সবকিছু করতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবিটি অযৌক্তিক।’

এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকলেও চেয়ারম্যান কথা বলার চেষ্টা করেন। আন্দোলনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিভাগে স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছে, তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রশাসনের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর