Saturday 22 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৯

রংপুর: দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কের নশিপুর এলাকায় বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— সদর উপজেলার ১০নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের কুতইড় মাঝাপাড়া গ্রামের মাজিয়া বেগম (১৫), মর্জিনা খাতুন (৫৫), তানজিলা এবং সাদিয়া। এ ঘটনায় অটোচালক ও এক শিশুসহ চারজন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত মর্জিনা, তানজিলা, সুমী সম্পর্কে একে অপরের জা এবং সাদিয়া নিহত মর্জিনার ভাগনী।

পুলিশ জানায়, পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুরগামী বাসটি কান্তজিউ মেলায় অংশগ্রহণকারীদের বহন করছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বাসটি অটোরিকশাকে প্রায় একশো গজ দূরে টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর বাকি একজন মারা যান।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর হোসেন জানান, বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল এবং অটোরিকশাটি সড়কের মাঝখানে ছিল। পেছন থেকে বাসটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে এটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে দেন, যার ফলে ২ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অবরোধ উঠে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বাসচালককে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে বেপরোয়া গতি ও লেন পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কাজ চলছে।’

তিনি আরও জানান, বাসের কোনো যাত্রী বা চালকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাসটি ওভারলোডেড ছিল এবং চালকের গতিনিয়ন্ত্রণের অভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

হাইওয়ে পুলিশের এসআই রেজাউল করিম বলেন, ‘কান্তজিউ মেলা দিনাজপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এ বছর মেলায় মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়কের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

সারাবাংলা/এমপি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর