ঢাকা: দেশের অন্যতম বৃহৎ আধ্যাত্মিক সমাবেশ চরমোনাই মাহফিল আগামীকাল বুধবার (২৬ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে। আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক চর্চার এই তিনদিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয়। ১৯২৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে মাহফিলটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
বুধবার জোহরের নামাজের পর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির প্রধান আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই, উদ্বোধনী বয়ান পেশ করবেন। তিনদিনের মাহফিলে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় মোট সাতটি প্রধান বয়ান অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী বয়ান দেবেন পীর সাহেব চরমোনাই। মাঝের বয়ানগুলো করবেন মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমসহ অন্যান্য শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদের আয়োজনে মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি। দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উলামা সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন একই সময়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
মাহফিলে আগত মুসল্লিদের সেবায় সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য রয়েছে ১০০ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল, যেখানে দেশের শীর্ষ চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দুইটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সসহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।