কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে রাতভর বৃষ্টির মতো ফোটায় ফোটায় ঝরে পড়ছে কুয়াশা। স্থানভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ডেকে থাকছে চারপাশ। সেইসঙ্গে শিরশিরে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জোলার খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে চর অঞ্চলের মানুষদের।
সদর উপজেলার গোয়াইলপুরীর চরের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছি না। বাতাস বেশি কাহিল করেছে ফেলেছে। কাজে যেতে পারছি না।‘
কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়ে ন্যায্য মূল্যের চাল কিনতে আসা রহিমা বেওয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কাজ করলে আমাদের খাবার জোটে, না করলে নাই। ঠান্ডায় কাজে যেতে পারছি না। যা আয় করি চাল কিনতেই কুলায় না। শীতের কাপড় কিনব কী করে।’
অন্যদিকে ঠান্ডার প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
শীতের প্রভাবে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষরা। হাসপাতালগুলোর বহিঃবিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এ ছাড়া হাসপাতালে শীতের প্রভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে ডাইরিয়া, নিউমনিয়া ও শাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছে ২৪ জন। এ নিয়ে মোট ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ৩৮ জন। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৯৮ জন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানায়, বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ ভাগ।