বগুড়া: সারিয়াকান্দি কালিতলা যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণে নির্মিত গ্রোয়েন বাঁধের কয়েকটি জায়গার ব্লক ধসে গেছে। নদী থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই এলাকার বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে মেরামতের কাজ না করলে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে ভাঙন সৃষ্টি হলে কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধ এবং মূল উপজেলা সদর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এখানে মেরামত কাজ করা প্রয়োজন।
জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙন রোধে বগুড়ার সারিয়াকান্দিকে রক্ষা করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধ। এ হার্ডপয়েন্টন্টি নির্মাণ হওয়ায় যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর। গ্রোয়েনবাঁধ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। গত কয়েকদিন আগে গ্রোয়েনবাঁধের উত্তরে ৫০০ মিটার এলাকায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ধসের সৃষ্টি হয়। পানি নেমে যাওয়ায় বেশকিছু এলাকায় সিসি ব্লকের নিচের মাটি সরে যায়। একই সাথে সিসি ব্লক সরে গিয়ে ধসের সৃষ্টি হয়।
ব্লক ধসে গিয়ে প্রায় ১০০ মিটার এলাকাজুড়ে তিন থেকে চারটি বিশালাকার গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে এখানে যমুনা নদীর স্রোতে নদীভাঙন সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ধাপগ্রামের শতাধিক পরিবারসহ একাধিক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এছাড়া যেখানে মূল ধসের সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে মহিলা কলেজের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৪০০ মিটার। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ৫০০ মিটার লম্বা।
ধাপ গ্রামবাসীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধে ব্লক ধসে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত মেরামত না করলে বর্ষাকালে যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সারিয়াকান্দির সব অফিস আদালত যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। খুব শীঘ্রই সেখানে মেরামত কাজ শুরু করা হবে। যেখানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে তার নিকটে ডাকুরিয়া নদী রয়েছে। সেই নদীর পানি নেমে ব্লকের নিচের মাটি সরে গেছে।