রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসেম সুজন (৫৪)।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড়মুরারীপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
আবুল হাসেম সুজন সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাটিপাড়া ইউনিয়নের বড়মুরারীপুর গ্রামের মৃত জনাব আলী মিয়ার ছেলে। সুজন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হাসেম সুজন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। পেশাগত জীবনে আমি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঠিকাদারি ব্যবসার কারণে আমি ২০১৯ সালে রাজনীতি থেকে সরেও এসেছিলাম।’
‘জীবনের বড় একটি সময় আমি ঠিকাদারির পিছনে ব্যয় করেছি। আমার জীবনে আমি কারোর ক্ষতি করিনি বরং উপকার করেছি। ঠিকাদারি ব্যবসা করতে গিয়ে আমার অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে আমার ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়টি আমি বুজেছি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। আমার ব্যবসায়িক শত্রু যারা রয়েছে তারা এক হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।,
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই/তিন আগে রাতে অজ্ঞাতনামা কিছু অস্ত্রধারী লোক একটি হায়েস মাইক্রোবাস নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল আমাকে তুলে নিতে। পরে আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকতেই তারা পালিয়ে যায়। এ সময় একজনকে আটকও করে জনতা। এ ছাড়াও কিছুদিন আগে বড়পুল রাবেয়া টাওয়ারের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামারা আমাকে হত্যাচেষ্টার জন্য পিছু নিয়েছিল। পরে আমি থানায় গিয়ে অবস্থান নেই। আমি থানায় সামগ্রিক বিষয়টি জানালেও তারা এ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। আমি হাতে লেখা একটি অভিযোগ থানায় দিলেও ওসি সাহেব সেটা গ্রহণ করেননি।’
সাবেক এই যুবদল নেতা বলেন, ‘আমি ২০১৩ সালের শ্রেষ্ঠ করদাতা। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চাই। কারণ যেকোনো মুহূর্তে আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমি নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করতে হয়েছে।’
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’