মানিকগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার, চাচাসহ আটক ৫
২১ মার্চ ২০১৯ ২০:২৩
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মানিকগঞ্জে সুজয় দেবনাথ (৫) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশু সুজয় সদর উপজেলার কাকুরিয়া গ্রামের ইতালীপ্রবাসী সঞ্জয় দেবনাথের ছেলে।
শিশুটির চাচা রঞ্জিত দেবনাথ সম্পত্তির লোভে সুজয়কে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী শিশুটির চাচা-চাচীকে মারধর ও বাড়িতে হামলা করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা শুরু করলে গ্রামবাসী পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে। ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজয়ের বাবা সঞ্জয় দেবনাথ পাঁচবছর ধরে ইতালি থাকেন। তিনি কয়েকদিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন এবং ২০ দিন আগে আবার ইতালি চলে যান। গত সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ছেলে সুজয়কে বাড়িতে রেখে মা বাসন্তী দেবনাথ পুকুরে গোসল করতে যান। গোসল সেরে বাড়িতে এসে সুজয়কে না পেয়ে তিনি বাড়ির আশেপাশে ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও শিশুটির খোঁজ না পেয়ে ওইদিনই চাচা রঞ্জিত দেবনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর গ্রামবাসী শিশুটির চাচার রঞ্জিতের বাড়িতে হামলা করেন। এতে রঞ্জিত, শিশুটির চাচী নিপা দেবনাথ ও দাদী মায়া রাণী দেবনাথ আহত হন।
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া পুলিশ আহতদের হেফাজতে নেয়। এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী তাদের ওপর আবার হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যানে ভাঙচুর চালানো হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার বলেন, ‘উত্তেজিত লোকজন নিহতর চাচা রঞ্জিতের বাড়ি ঘরে যেমন হামলা করেছে তেমনি পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজত শিশু চাচা রঞ্জিত দেবনাথ, চাচী নিপা দেবনাথ, দাদী মায়ারানি দেবনাথ, চাচাতো ভাই মিলন দেবনাথ ও চাচাতো বোন নিপা দেবনাথকে আটক করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে