নারী ইউপি সদস্যের কান ছিঁড়ে দিলেন চেয়ারম্যান
২৭ মার্চ ২০১৯ ২৩:২০
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নে এক নারী ইউপি সদস্যের কান ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উমারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ভালনারেবল গ্রুপ ডেভলপমেন্ট (ভিজিডি) কার্ডের ভাগ-বাটোয়ারার দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ নারী ইউপি সদস্য।
আহত নারী ইউপি সদস্য আলেয়া খাতুন নাগরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনের চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মণ্ডলের সঙ্গে নারী সদস্য আলেয়া খাতুনের ভিজিডি কার্ডের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী সদস্যকে মারধর করেন। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায় এবং কানের লতি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসাধীন নারী সদস্য আলেয়া খাতুন বলেন, ‘ভিজিডি কার্ডের সুষ্ঠু ভাগ চাইলে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করে বাম হাত ভেঙে দেয়। এছাড়া তিনি আমার কান ছিঁড়ে দিয়েছেন।’
এ সময় আরেক ইউপি সদস্য আরফান আলী চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ আলেয়া খাতুনের। ভিজিডি কার্ডের বিষয়ে বুধবার ইউএনও অফিসে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই ইউপি সদস্য।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মতিন মণ্ডল বলেন, ‘এসবের প্রশ্নই আসে না। ভিডিজি কার্ডের কথা বলে ওই নারী সদস্যই জনসম্মুখে আমাকে কিল ঘুষি দিয়ে জামা ছিঁড়ে দিয়েছেন।’
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবু তাহির বলেন, ‘ভিজিডি কার্ডের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চৌহালী থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দুইপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/একে/পিএ