নারী ফুটবলারদের সেই স্কুলে আগুনের ঘটনায় মামলা
১৬ মে ২০১৯ ০৫:৩১
ময়মনসিংহ: দেশের নারী ফুটবলে গর্বের সেই কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দেয়ায় ঘটনায় মধ্যরাতে মামলা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৫ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া বাদী হয়ে ‘কারো নাম’ উল্লেখ না করে এ মামলা দায়ের করেন।
ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রতন মিয়া ও ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই দিন পরেও সন্দেহভাজন কারো নাম দিতে পারেনি। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভোর রাতে কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তাঁরা আলমারিতে থাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সনদপত্র, মেয়েদের খেলার সার্টিফিকেট, মেডেল, রেজুলেশন বই, কারিগরি শাখার কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
এতে দেশের নারী ফুটবলের অহংকার শামসুন্নাহার জুনিয়র, রোজিনা ও সাজেদার বিভিন্ন খেলায় অর্জনের মেডেল ও সনদপত্রও পুড়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তদন্তে কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ সারাবাংলাকে জানান, বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে তালা অক্ষত রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষের তালা ভেঙে আগুন দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কীনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
পাশাপাশি বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই বহিরাগত কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কীনা এমন চারটি প্রশ্ন সামনে রেখে জোর গতিতেই তদন্ত কার্যক্রম চলছে। আশা করি অচিরেই আগুনের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে, বলেন ওসি।
প্রসঙ্গত, দেশের নারী ফুটবলের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ধোবাউড়ার এই কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ফুটবল কন্যারা দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও কলসিন্দুর ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বিশ্ব মঞ্চেও তাঁরা ফুটবলকে নিয়ে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি