রামপালে একের পর এক ঘেরের মাছ লুট, অভিযোগের তীর বিএনপি নেতার দিকে
২৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:০২
বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় চলছে ঘের থেকে মাছ লুটের মহোৎসব। একের পর এক ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় এলাকার ঘের মালিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও ভীতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘের লুটের মূল হোতা উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন শেখ।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘের মালিকেরা এখন আল আমিন শেখের আতংকে রয়েছেন। আল আমিন ও তার লোকজনের লুটপাটে ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষও।
রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন শেখ প্রায় শ’খানেক লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তার ২৪০ বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। তার ঘেরটি ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ক্যাটার্জীখালী গ্রামে। এছাড়া ঘের থেকে নগদ এক লাখ ৪২ হাজার টাকা ও মালামাল লুটে নেয়।
তিনি বলেন, আমাদের দলের লোকই (আল আমিন) লোকজন নিয়ে এই লুটপাট চালাচ্ছে। আর তার এ অপকর্মে ইন্ধন দিচ্ছেন রামপাল থানা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন।
ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরফদার এনামুল হক প্রিন্স জানান, আলআমিন গং বুধবার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে স্থানীয় শাহিনা বেগমের একশ বিঘার ঘেরে লুটপাট চালায়। এ সময় ঘেরটি থেকে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বাগদা চিংড়ি, আট হাজার টাকার বাইলা মাছ ও দুই হাজার টাকার চিংড়ি মাছ লুট করে নেয়।
ঘের মালিক শাহিনা বেগম বলেন, আমার ঘের লুট করে যাওয়ার সময় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আল-আমিন শেখ। চাঁদা না দিলে ঘের দখল করে নেয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া এসব ঘটনা থানা পুলিশকে না জানাতেও শাসিয়ে যায় আল-আমিন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ৯০ বিঘার ঘেরের মাছ লুটে নেয় আল আমিন ও তার লোকজন। ঘেরটি থেকে ৮০ হাজার টাকার মাছ লুট করা হয়। আর এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে একই ইউনিয়নের দেড়শ বিঘার মীরের ঘের থেকে লাখ টাকার মাছ লুটে নেয় তারা।
এছাড়াও আল-আমিনের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তবে তার ভয়ে ভুক্তভোগী কোনো ঘের মালিকই এখনো পর্যন্ত লুটপাটের ঘটনায় থানা অভিযোগ দেওয়ার সাহস করেনি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে আল-আমিন শেখ বলেন, আমি কিংবা আমার লোকজন কোনোভাবেই এসব লুটপাটের সঙ্গে জড়িত না।
সারাবাংলা/এনইউ