Friday 07 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি পার করল, বেড়েছে মাছের দাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২৫ ১১:১৭ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১৫

পেঁয়াজ। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজের দাম খুচরায় সেঞ্চুরি পার হয়েছে। সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ প্রচুর, অথচ বাড়ছে মাছের দাও। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সবজি, মাংস ও মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সবজির বাজার। ছবি: সারাবাংলা

বাজারে ও দোকানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা নিম্নমানের পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দর ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। বিক্রেতারা বলেছেন, দেশি ফলনের পেঁয়াজ বাজারে আসার আগপর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। প্রতিকেজি দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ইলিশের বাজার। ছবি: সারাবাংলা

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু মাছের দাম সেভাবে নিম্নমুখী না হয়ে বরং আরও বেড়েছে। বিক্রেতারা জানালেন, প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজার। ছবি: সারাবাংলা

এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায়, আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ এর মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকার দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি আগের মতোই ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হতো। আর সোনালি মুরগির দাম ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশী হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার। ছবি: সারাবাংলা

বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক-দুই টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চালের দাম এখন ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা। ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা ও মোটা ধরনের স্বর্ণা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদি দোকান। ছবি: সারাবাংলা

বাজারে বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার প্রায় সব ধরনের সবজিই ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে খুচরায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এর মধ্যে প্রতি কেজি করলার দাম ৬০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, কলা হালি প্রতি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, ধুন্দল, কাঁকরোল, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০, পটল ৬০, কচুরমুখী ৪০ টাকা, শিম ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি-ফুলকপি ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ও লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চায়না ও দেশি গাজরের দামে। প্রতি কেজি চায়না গাজরের দাম ১৫০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দোকান। ছবি: সারাবাংলা

মুদিপণ্যের মধ্যে বাজারে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। প্যাকেটজাত আটার মধ্যে সেনা, ডায়মন্ড, ফ্রেশ, আফতাবসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আটা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর খোলা ময়দা ৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে কেজিপ্রতি নেপালি মসুর বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। আর মোটা দানার মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ছবি: সারাবাংলা

বাজারে ও অলিগলির দোকানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৌটাজাত ঘি ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি খোলা সাদা চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১১০ টাকা, লালচিনি ১১৫ টাকা, ছোট মুগডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ছবি: সারাবাংলা

দুই কেজির প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, কাজু বাদাম কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর