Wednesday 19 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জালিয়াতির অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাসের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ২০:১৭

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জালিয়াতির অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব মামলটি করেছেন।

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ সারাবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কেজিডিসিএল’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ) প্রকৌশলী মো. তাজউদ্দিন ঢালী, উপ-ব্যবস্থাপক (বিতরণ) মো. কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (বিক্রয় দক্ষিণ-২) প্রকৌশলী মুহাম্মদ রিফাত নওশাদ ভূঁঞা, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও প্রকৌশলী সুধীর কুমার সাহা রায় এবং পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়া।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ পটিয়া উপজেলার মনসার টেক এলাকায় সাইনবোর্ডবিহীন একটি অবৈধ অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় চোরাই গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালায় কেজিডিসিএল’র টিম। বিচ্ছিন্নকরণ প্রতিবেদনে চোরাই গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য এনামুল হক ও মোক্তার হোসেন বকুল মিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের নামের জায়গায় ‘একরামুল হক ও নাজমুল হোসেন’ উল্লেখ করে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালে জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেন গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়া। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে পর্যন্ত সেটি চালু ছিল। ২০১৬ সালে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পরও কেজিডিসিএল’র কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশ করে নাম জালিয়াতি করে জড়িতদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়, যার ফলে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে সক্ষম হন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ২১৭, ২১৮, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর