ঢাকা: রাজধানীর মোহম্মদপুরে কব্জিকাটা গ্রুপের অন্যতম প্রধান সহযোগী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৬।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু।
তিনি বলেন, গতকাল ২ জুলাই রাজধানীর মোহম্মদপুরের ‘কব্জিকাটা গ্রুপ’ এর অন্যতম প্রধান সহযোগী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন সি এন্ড বি বাজার এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে র্যাব-২ ও র্যাব-৬।
খান আসিফ তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর মোহম্মদপুরে সে ও ভার গ্যাংয়ের লোকজন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া গ্রেফতার বাবু মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের নিয়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্যামলী হাউজিং ২নম্বর প্রজেক্টে টুন্ডা বাবুকে সামুরাই ও ছুরি হাতে কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-২ তাকে গ্রেফতারের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে এবং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ কর্তৃক তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে সে গত ৫ মে জামিনে মুক্ত হয়ে পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
তিনি বলেন, গত ২৯ জুন আদাবর থানা এলাকায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে (২৫) বাবু ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন আদাবর থানায় টুন্ডা বাবু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ১০টির অধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবু আরও জানায়, মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতারকৃত আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়। সে কব্জিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে মোহাম্মদপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। সাধারণত দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে এবং রাত গভীর হলেই বাসা বাড়ি, ফ্লাটে ও গাড়ি থামিয়ে অন্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নেয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।