ঢাকা: বাগেরহাটের ফকিরহাটে চার বছর আগে সংঘটিত গৃহবধূ সুমি আক্তার পুতুল (২৫) হত্যার প্রধান আসামী বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ তদন্তের পর গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লার লাকসাম থানা এলাকা থেকে রিংকুকে আটক করা হয়।
রিংকু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা গ্রামের আক্তার হোসাইন ওরফে কামাল মিয়া মুন্সির ছেলে।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সকালে ফকিরহাট উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি ঘের থেকে সুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবার পরে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্তে জানা গেছে, নিহত সুমির সঙ্গে আসামি রিংকু ওরফে বিজয়ের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের রাতে সুমি আক্তার স্বামী-সংসার ছেড়ে বিজয়কে নতুন সংসার গড়ার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহ পাশের ঘেরে ফেলে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা লাশটি নারিকেলের ডালপালা দিয়ে ঢেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
জসীম উদ্দিন খান জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিংকু হত্যাকাণ্ড স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক ফাঁস হওয়ার ভয় ও বিয়ের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পরে আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে।