ঢাকা: বাড়ির তিন তলা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছিল তার প্রেমিকা বর্ষা। ঘরের নিচতলায় ছুরিকাঘাতের পর জোবায়েদ তৃতীয় তলায় উঠে বর্ষার রুমের দরজা চাপড়ালেও কেউ তাকে বাঁচাতে এগোয়নি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস.এন. মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বর্ষা, মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি জানান, জোবায়েদকে ঘরে ঢুকতে দেখে তিন তলায় গিয়ে দরজা চাপড়ালে বর্ষা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ঘটনার সময় মরদেহ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। বর্ষা জোবায়েদ ও মাহির উভয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখছিলেন। মাহির যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখন বর্ষা তাকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।
তিনি আরও জানান, বর্ষা নিয়মিত জোবায়েদ কখন বাসায় পড়াতে আসে তা মাহিরকে জানাতেন। একপর্যায়ে মাহির ও তার বন্ধু আয়লান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫০০ টাকা দিয়ে সুইচগিয়ার চাকা কিনে হত্যার প্রস্তুতি নেয়। ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় জোবায়েদ বংশাল থানাধীন নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে পড়ানোর সময় মাহির গলায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। আয়লানকে জোবায়েদের পেছনে আঘাত করার জন্য বলা হলেও সে তা করেনি। পুরো ঘটনার সময় বর্ষা তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিল।
ময়নাতদন্তের জন্য রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জোবায়েদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।