ঢাকা: সৌদি আরবের রিয়াদে অপহরণের শিকার রাসেল নামের এক বাংলাদেশিকে মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১২ জানুয়ারি রিয়াদে রাসেলকে অপহরণ করে একটি চক্র। প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদিতে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ী রাসেলের পরিবারকে অজ্ঞাত ইমু আইডি ও ভিওআইপি নম্বর থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংক হিসাব নম্বর দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্য সাইফুল ইসলাম খিলগাঁও ঝিলপাড় এলাকা থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাবে ২৫ লাখ টাকা পাঠান। টাকা পেয়ে অপহরণকারীরা রাসেলকে রিয়াদের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। যাওয়ার আগে তারা রাসেলের আকামা আইডি ও হাতের ছাপ নিজেদের কাছে রেখে দেয় এবং ঘটনা ফাঁস হলে আবার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি নিরাপদ স্থানে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঘটনার পর রাসেলের শ্বশুর গত ২১ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। তথ্য বিশ্লেষণ ও তদন্তে দেশের ভেতর-বাইরে জড়িতদের শনাক্ত করে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১১ নভেম্বর) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াউর রহমান স্বীকার করেছে যে সৌদি আরবে থাকা অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে মুক্তিপণের টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন পেয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।