Wednesday 04 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসনা হেনার মুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা


৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩২ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:১১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: হাসনাকে নিয়ে অভিযোগ নেই কারও

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তারা এ বিক্ষোভ করবেন এবং শ্রেণি শিক্ষিকা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত রোববার থেকে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তারা শ্রেণি শিক্ষিকার মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ডে বিভিন্ন স্লোগান লিখে তা নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা- মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, হাসনা হেনার মুক্তি চাই; নির্দোষ নির্দোষ, আমার মা নির্দোষ; ফিরব না, ফিরব না, মাকে ছাড়া ফিরব না; আমার মায়ের অপমান, মানব না মানব না; সুষ্ঠু তদন্ত চাই, আমার মায়ের মুক্তি চাই, বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক কারাগারে

বিক্ষোভকারী একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা ম্যাডাম অত্যন্ত ভালো শিক্ষক। কিন্তু একটা ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। আমরা তার মুক্তি চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অরিত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কমিটির তদন্তের আগেই ম্যাডামকে গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল। কারণ এখনও প্রমাণও হয়নি যে তিনি দোষী। অথচ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে তো তদন্ত হোক, তারপর দোষী হলে গ্রেফতার করত। কিন্তু তা কেন করেনি?’

আরও পড়ুন: ছয় দফা বাস্তবায়ন হলেই ক্লাসে ফিরবে শিক্ষার্থীরা

তার দাবি, শিক্ষিকা হাসনা হেনা নির্দোষ। তাই তার মুক্তি ছাড়া তারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেবে না। তবে এ ঘটনায় প্রকৃত দোষী যিনি হবেন তাকে গ্রেফকারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনিসহ সকল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে উত্তরার একটি হোটেল থেকে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিকারুননিসার শিক্ষকরা

এর আগে ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি হাসনা হেনা। বাকি দুই আসামি হলেন ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরা। পরে বুধবার বিকেলে মামলাটি পল্টন থানা থেকে অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবিতে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: পরিচালনা পর্ষদ দায় এড়াতে পারে না: শিক্ষাবোর্ড

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনা মগবাজার ডাক্তারের গলি এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে তিনি উত্তরার ‘হোটেল উত্তরা ইন’-এর একটি কক্ষে আত্মগোপন করেন তিনি। মামলা হওয়ার পর পরিস্থিতি প্রতিকূলে ভেবে হাসনা হেনা ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে গ্রেফতার হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ জানুয়ারি

হাসনা হেনাকে ধরতে ডিবি পুলিশ প্রথমে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার বরখাস্ত এ শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেন তারা।

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

অরিত্রীর আত্মহত্যা ভিকারুননিসা স্কুল হাসনা হেনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর