ঢাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের ওষুধ বিক্রি, ফার্মেসি মালিক আটক
৬ মে ২০১৯ ১৫:০৬
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের ওষুধ বিক্রির অভিযোগে নীলক্ষেতে মামুন ফার্মেসির মালিক মো. হানিফকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাহেব আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত সারাবাংলাকে বলেন, ‘নীলক্ষেতের এক ফার্মেসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের ওষুধ বিক্রির খবর পাই। সেখানে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিল মারা জিফ্লক্স-৫০০ নামে ওষুধ কিনি। সিলমারা ওষুধ কোথায় পেয়েছেন, জানতে চাইলে ফার্মেসির মালিক ক্ষমা চান। অনেক পীড়াপীড়ির পর তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স চালক মালেকের কাছ থেকে তিনি এ ওষুধ কিনেছেন।’
মামুন ফার্মেসির মালিক আটক হওয়ার আগে সারাবাংলার কাছে বলেন, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মালেক তার কাছে ছয় পাতা জিফ্লক্স ৫০০ ওষুধ বিক্রি করেন।’ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির জন্য ফার্মেসি মালিক দুঃখপ্রকাশ করেন।
ওষুধ বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স চালক আবদুল মালেক সারাবাংলাকে জানান, তিনি মেডিকেলের চিকিৎসক ডাক্তার আরিফুর রেজা সিকদারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন করে ছয়পাতা ওষুধ নেন।
তবে ডা. আরিফুর রেজা সিকদার কাউকে ছয় পাতা জিফ্লক্স-৫০০ ওষুধ প্রেসক্রাইব করেননি বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. মো সালাহউদ্দিন ও ডা. নূর-মোহাম্মদের কাছ থেকেও দুই পাতা ওষুধ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে নেন বলে জানান অ্যাম্বুলেন্স চালক।
ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্য তানভীর হাসান সৈকত ফার্মেসির মালিক হানিফ ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মালিককে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে হাজির করেন। সেখান প্রক্টর ওষুধগুলো জব্দ করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের ওষুধ বাইরে কীভাবে গেল আমরা তা জানার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেলের প্রধান অফিসার ডা. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ রকম ঘটনার কথা আগে শুনতাম। এখন প্রমাণ পেলাম। মেডিকেল বোর্ড আছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/কেকে/একে