ঢাকা: গত ১৩ জুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলায় শিয়া বানিয়ে নারী পাঠাচ্ছে ইরানি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ শাখা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সারাবাংলার অনুসন্ধান, সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ও ড. সামিউল হকের পাঠানো উকিল নোটিশের বরাত দিয়ে ওই সংবাদটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো দ্বিমত না থাকলেও নিজের বক্তব্যের কিছু জায়গায় অসঙ্গতি আছে দাবি করে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ড. সামিউল হক।
ড. সামিউল হক নিজের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন, সাংবাদিকরা নিজস্ব অনুসন্ধান ও আমার দেওয়া উকিল নোটিশের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করেন।
কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনে উকিল নোটিশের বরাত দিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার কোথাও কোথাও আমার মূল বক্তব্যের সঙ্গে অসঙ্গতি রয়েছে।
উকিল নোটিশের বরাত দিতে উল্লেখ করা হয়—
১. সামিউল জানান, এই শাখা থেকে বেছে বেছে সুন্দরী মেয়েদের কৌশলে ইরানে পাচার করা হয়। তিনি জঙ্গি সংগঠনের মদদ দেওয়ার মতো স্পর্শকাতর তথ্যের ব্যাপারেও সন্দেহ পোষণ করেন। …
উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, এটি একটি নারী পাচারকারী চক্র তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বাংলাদেশের কোথাও এক জন ছেলের জন্য তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বেলা বিনামূল্যে থাকা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি।
২. উকিল নোটিশে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, যিনাত ফেরদৌসের সাঙ্গপাঙ্গরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো বিদেশি অপশক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। তারা সুইসাইড স্কোয়াড তৈরি করতে পারেন, জঙ্গি সংগঠন তৈরি করতে পারেন, এক কথায় বাংলাদেশের নিরাপত্তাও বিক্রি করে দিতে পারেন। কেননা এই আন্তর্জাতিক অবৈধ চক্রের নেতাদের কেউই বাংলাদেশি নন। বাংলাদেশের প্রতি দেশপ্রেম থাকা তাদের জন্য অপরিহার্য নয়। বরং যাবতীয় অপরাধযজ্ঞের নমুনা দেখে তাদের ধর্মব্যবসায়ী যৌনবুভুক্ষ পুরোহিত শ্রেণি বলেই মনে হয়।
ড. সামিউল হক বলেন, ‘স্পর্শকাতর দুটি বিষয় যা আমার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। তাই আমি ওই বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছি। উক্ত দুটি বিষয়ে প্রচারিত বাক্যসমূহ আমার নয়।’