ঢাকা: আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস (World Accreditation Day)। প্রতি বছর ৯ জুন আন্তর্জাতিকভাবে এই দিনটি পালিত হয় পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য— অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)। যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, টেকসই এবং বিশ্বাসযোগ্য সেবা ও পণ্যের নিশ্চয়তায় অ্যাক্রেডিটেশনের ভূমিকা তুলে ধরা হচ্ছে।
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের উদ্যোগ এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা IAF (International Accreditation Forum) ও ILAC (International Laboratory Accreditation Cooperation) এর পক্ষ থেকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ উপলক্ষে সেমিনার, কর্মশালা, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও প্রচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (BAB) বিশেষ আলোচনা সভা, সনদ বিতরণ এবং মাননিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের অবদান তুলে ধরতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, নির্মাণ, পরিবেশ ও শিক্ষা খাতে মাননির্ভরতা বাড়াতে অ্যাক্রেডিটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি শুধু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেই নয়, দেশীয় বাজারে পণ্যের গুণগত মান ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
সরকারি পর্যায়ে নীতিনির্ধারকরা অ্যাক্রেডিটেড প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে, ভোক্তাদেরও সচেতন হয়ে কেবলমাত্র অ্যাক্রেডিটেড সেবা ও পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।