ঢাকা: গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ উন্নয়নের লক্ষ্যে বান্দরবানের থানচি উপজেলার ওয়াকচাকু পাড়ায় নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় ‘গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে এই প্রকল্প।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকচাকু পাড়ায় তীব্র পানির সংকট ছিল। এখন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ মোট ৪১৭ জন বাসিন্দা সারা বছর সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে দুটি ৫ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার ও ২ হাজার ৫০০ ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢালুর সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এই ব্যবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও পানির সরবরাহ নির্বিঘ্ন থাকে।
রবি জানায়, আগে স্থানীয়দের ১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। এখন সময় কমে এসেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ফলে বেঁচে যাওয়া সময় শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়, এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে রবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্প আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।’
গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, ‘সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন একটি টেকসই পানির ব্যবস্থা তৈরি করেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।’
এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)–এর ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ এবং ‘বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন’-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। রবি একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে; ওয়াকচাকু পাড়ার এই উদ্যোগ সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।