ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের প্রতিষ্ঠান রিংশাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) জালিয়াতির অভিযোগে কোম্পানির নয়জন বিদেশি মালিক–কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফারুকের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে রিংশাইনকে তালিকাভুক্ত করে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকরা হলেন— সুং ওয়েন লি অ্যাঞ্জেলা, সুং জাই মিন, মিসেস শিয়াও লিউ ই চি, ম্যাডাম চুক কোয়ান, ম্যাডাম শেয়াও ইয়েন শিন, সুং চুং ইয়াও, ম্যাডাম হ্যাং সিউ লাই, শিয়াও হাই হে এবং মিস্টার সুং ওয়ে মিন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, ফার গ্রুপ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফারুক বিদেশি কোম্পানি ‘রিংশাইন টেক্সটাইল লিমিটেড (ডিইপিজেড)’–এর কার্যকর পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া শেয়ারহোল্ডার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আইপিওর মাধ্যমে ২৭৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি কোম্পানির সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের ৪০–৬০ শতাংশ গ্রহণের চুক্তি করেন। অভিযোগটি বর্তমানে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধানাধীন।
ফার গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এগুলো হলো— শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ (সাবেক আরএন স্পিনিং), এমএল ডায়িং এবং ফার কেমিক্যাল অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।
 
                                     
                         
                         
                        