ঢাকা মেডিকেলের জন্য মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে
২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৫৬
।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেলের (ডিএমসি অ্যান্ড এইচ) মাস্টার প্লান তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নির্দেশনা মেনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং পুনর্নির্মাণ-এর জন্য ব্যয় প্রাক্কলনসহ মহাপরিকল্পনা ও ডিজাইন প্রণয়ন’ নামের প্রকল্পটি হাতে নিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়িত হলে চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা সংক্রান্ত বিশেষায়িত পরিসেবার জন্য একটি পরিচালনাযোগ্য সেট-আপ প্রস্তুত করা এবং অপারেশনাল মাস্টার প্ল্যান ও বাস্তবায়ন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে।
এতে খরচ ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই প্রস্তাবটি নিয়ে বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়নকমিটির (এসপিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মূল ভবনটি বাংলা ভাগ হওয়ার আগে ১৯০৫ সালে তৈরি করা হয় তদানিন্তন নব গঠিত ইস্ট বেঙ্গল ও আসাম প্রভিন্সের সেক্রেটারিয়েট হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এই ভবনে ১৯৪৬ সালে সর্বপ্রথম বর্তমান মেডিকেল কলেজটি গঠিত হয়। ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাসপাতালে উন্নীত করেন। ৫০০ শয্যা যোগের পর এ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ২ হাজার ৩০০ শয্যায়। প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার রোগী এ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এত অধিক সংখ্যক রোগীকে সেবা দেয়ার জন্য আরও অধিক স্বাস্থ্য কর্মী, প্রশস্ত জায়গা ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি-এর ভিত্তি স্থাপনকালে দেয়া বক্তৃতায় ডিএমসিএন্ডএইচ চত্বরের পুরনো বিধ্বস্ত ভবনগুলো ভেঙে আধুনিক স্থাপত্য ও ঐতিহ্য সম্বলিত নতুন ভবন তৈরির নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে ডিএমসিঅ্যান্ডএইচ-এর সম্প্রসারণ, উন্নয়ন এবং আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এর ফলে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ডিএমসি অ্যান্ডএইচ মূল কেন্দ্র এবং দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সামর্থ অনুযায়ী খরচে মান সম্মত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।
এ জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্থাপত্য অধিদফতর (গণপূর্ত অধিদফতরের সমন্বয়ে) সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ৯ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ডিএমসি অ্যান্ডএইচ-এর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করা, এক্সপোজার ভিজিট পরিচালনা করা এবং মাস্টার প্ল্যানের আওতায় স্থাপনাগুলোর মূল কাঠামোগত নকশা প্রণয়ন করা হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য উইং-এর যুগ্মপ্রধান সামীম আহমদ খান পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় কার্যপত্রে উল্লেখ করেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান স্থাপনা। এ কারণে প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত পরামর্শক সেবা রিভিজিট করা প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় ডিজাস্টার ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট এক্সপার্ট হেরিটেজ আর্কিওলজিস্ট মেডিকেল এডুকেশন এক্সপার্ট ইত্যাদি পরামর্শক সেবা সংস্থান রাখা প্রয়োজন। প্রকল্পের পরামর্শক সেবা পর্যালোচনা পূর্বক অত্যাবশ্যক সেবা নতুন ভাবে সংস্থান রাখা যেতে পারে।
সারাবাংলা/জেজে/এসআই/এমএইচ
আরও পড়ুন
ঢামেক হাসপাতালে বাক্সেই ‘বন্দি’ অভিযোগ
নতুন নিয়ম ঢামেকে, স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্ত