Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসকে সমন, হাজির না হলে গ্রেফতার আদেশ


১৩ জুলাই ২০১৯ ১৪:৪১

ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ফাইল ছবি

ঢাকা: কর্মীদের পাওনা পরিশোধ না করা ও ট্রেড ইউনিয়নের কাজে বাধা দেওয়ায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তলব করে সমন জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

তার মালিকানাধীন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ওই ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। আর এসব অভিযোগ এনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে । ওই মামলার শুনানি নিয়ে গত ১০ জুলাই ঢাকার আদালত এ সমন জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

আগামী ৮ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ড. ইউনূস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একজন আইনজীবী সারাবাংলাকে জানান, এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হবে। ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।

তিনি স্পষ্টতই শ্রম আইনের একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছেন। আর জবরদস্তিমূলকভাবে দুই ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকে চাকরিচ্যুত করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়, বলেন এই আইনজীবী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের তিন কর্মচারি এমরানুল হক, শাহ্ আলম ও আব্দুস সালাম গত ৩ জুলাই ড. ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করেন।

ওই মামলার শুনানি নিয়ে গত ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত এ সমন জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদীরা গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের স্থায়ী পদে এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কাজে যোগদান করেন। শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত হওয়া ও নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী নিজেরাসহ অন্যান্য শ্রমিক সহকর্মীদের নিয়ে ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ (প্রস্তাবিত) নামে একটি ইউনিয়ন গঠন করেন এবং তা আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন। ইউনিয়ন গঠনের বিষয়টি জানতে পেরে মামলার আসামিরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনেও তারা বাধা দেয়।

বিজ্ঞাপন

বাদীর প্রতি এরকম অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন আসামিরা। আসামিদের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বেআইনিভাবে বাদীদের প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত রাখেন এবং কোনো কারণ ছাড়াই বাদীদের চাকরি থেকে টার্মিনেট করেন।

বিষয়টি লিখিতভাবে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালকে অবগত করেন বাদীরা। পরবর্তীতে কাজের বিষয় বহুবার যোগাযোগ ও অনুনয়-বিনয় করলেও তাদের (বাদীদের) প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ইউনিয়ন গঠন করার কারণে আসামিরা তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে কাজ থেকে বিরত রাখেন এবং বেআইনিভাবে চাকরিচ্যূত করেন।

বেআইনিভাবে চাকরিচ্যূতির অভিযোগে গত ২৩ জুন বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান তারা। তার কোনো জবাব না পেয়ে পরে মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/ এজেডকে/এমএম

আদালত গ্রামীণ কমিউনিকেসন্স টপ নিউজ ড. ইউনূস সমন জারি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর