Monday 12 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোম-কুপির আলোয় নতুন বই পড়ার ধুম


২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৫৭ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৩৩

শাহ ওমর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটব,
বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশ জুড়ে উঠব।’

পয়েলা জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনেই সরকারের দেয়া নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দিত শিশুরা। শহরে গ্রামে আমরা দিনভর দেখেছি তার উচ্ছ্বাস। নতুন বই হয়েছে তাদের সাথী। মেতেছে তারা বই উৎসবে।

কেবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেই নয়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, সহ উপকূলীয় সমাজ ভিত্তিক পরিচালিত বিভিন্ন ঝুঁপড়ি স্কুলগুলোতেও পৌঁছে গেছে নতুন বই।

দিনভর উৎসবের পর সন্ধ্যায় পড়ে যায় বই পড়ার ধুম।

https://www.youtube.com/watch?v=7r8Ok1vZovc&feature=youtu.be

আর তা দেখতেই গিয়েছিলাম কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার পাহাড়ের খাজে খাজে গড়ে ওঠা গ্রামগুলোতে।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই এইসব পাড়ায় শিশুদের পড়াশোনার শব্দ শোনা যাচ্ছিলো।

যদিও এটা নিত্যঘটনা। তবুও সোমবারের সন্ধ্যার শব্দটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন ছিলো অন্যদিনের তুলনায়।

চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোঁকার আওয়াজ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে স্যাঁতসেঁতে পিচ্ছিল পাহাড়ি উঁচুনিচু রাস্তা পেরিয়েই একটু দূরে দেখা মিললো আলোর। আলোটা বিদ্যুতের ছিলো না ,সেটা নিশ্চিত হতে সময় লাগলোনা কারণ আলোটা প্রায় নিভুনিভু করেই জ্বলছিলো। আরেকটু কাছে যেতেই ভেসে উঠলো কয়েকটি নিষ্পাপ মুখমণ্ডল । তারা মনযোগী হয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত। পড়ারটেবিল নেই মাটিতে ভাইবোন প্রতিবেশী সহপাঠী মিলে গোল হয়ে প্রদীপের আলো ভাগাভাগি করে পড়ছে।

শিশুদের মা বলেন- আজ নতুন বই পেয়ে খুব আনন্দিত তাঁর সন্তানরা।

খেলার মাঠ থেকে শিশুরা আজ একটু তাড়াতাড়িই বাড়িফিরে এসেছে নতুন বই পড়বে বলে। তিনি আরো জানান, আসপাশে তেমন কোন দোকানপাট না থাকায় টাউন থেকে মোমবাতি এনে পড়ার আয়োজন করতে হয় নিত্যদিন।

বিজ্ঞাপন

বললেন, কেরোসিনের দামের তুলনায় মোমবাতি সাশ্রয়ী । তাছাড়া একটি মোমবাতি দুইটাকায় কিনতে পারায় মোমবাতিই তাদের ভরসা।

সারাবাংলা/এসও/এমএম

বিজ্ঞাপন

আর যুদ্ধ নয়: পোপ লিও
১২ মে ২০২৫ ০৯:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর