করোনামুক্ত করতে অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করছে এমটিএ
২৯ মে ২০২০ ১৮:০৭
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাস, ট্রেন ও স্টেশন জীবাণুমুক্ত করতে সি ক্যাটাগরির অতিবেগুনি রশ্মি (ইউভিসি) ব্যবহারের এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে শহর পরিবহন কর্তৃপক্ষ। গত ২১ মে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। মার্কিন এক গবেষণা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি করোনাভাইরাস নির্মূলে সক্ষম বলে দাবি করার পর এমন প্রকল্প হাতে নেয় নিউইয়র্ক।
মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি (এমটিএ) জানিয়েছে, ১৫০টি ইউভিসি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মির সি ক্যাটাগরির ল্যাম্প ব্যবহার করে শহরের বাস, ট্রেন জীবাণুমুক্ত করার পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ডেনভারভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘পুরো লাইটিং’ এ পাইলট প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরণের উদ্যোগের সফলতা ও ব্যয় কার্যকরিতা নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছে এমটিএ।
উল্লেখ্য, আল্ট্রাভায়োলেট সি বা অতিবেগুনি রশ্মির সি ক্যাটাগরি করোনাভাইরাস নির্মূলে কার্যকর বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়ায় অবস্থিত সেন্টার ফর রেডিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
এমটিএ জানিয়েছে, প্রথম ধাপের জীবাণুমুক্তকরণ চলছে শহরের সাবওয়ে, বাস ও ট্রানজিট স্টেশনগুলোতে। এতে যদি সফলতা পাওয়া যায় তবে পরে শহরের লং আইল্যান্ড রেল রোড এবং মেট্রো-উত্তর রেলেও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। অতিবেগুনি রশ্মির এসব ল্যাম্প রাতের বেলা যাত্রীসমাগম বন্ধ হলে ব্যবহার করা হয়।
এমটিএ’র চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক ফয়ে বলেন, ‘পরিবহন সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে ইউভিসি ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করার প্রথম পাইলট প্রকল্প আমরাই নিয়েছি। এর আগে গত তিন মাস ধরে আমাদের প্রত্যেকটি বাস ও পাতাল রেল জীবাণুমুক্ত করার কাজ বিরামহীনভাবে করে আসছি। আমরা সবসময়ই নতুন আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইউভিসি ল্যাম্প ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করার এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের সেই প্রতিজ্ঞাই পূরণ করছি। এই প্রকল্পটি গ্রাহক এবং কর্মচারীদের নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে।’
এমটিএ জানিয়েছে, ইউভিসি লাইট ভাইরাস নির্মূলে সক্ষম বলে প্রমাণ হয়েছে। এটি একটি কার্যকর প্রযুক্তি। ইতিমধ্যে হাসপাতাল, ফায়ারসার্ভিসের অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জীবাণুমুক্ত করতে এটি ব্যবহার হয়েছে।
নিউইয়র্কের পরিবহণ ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তি কতটুকু কাজে আসছে, তা নিরূপণ করতে কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রেডিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডেভিড ব্যানারের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এমটিএ।
এমটিএ জানিয়েছে, ডেভিড ব্যানার পরিবহণ ব্যবস্থায় এই লাইটের কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা করবেন। পাইলট প্রকল্পের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তার প্রতিষ্ঠান গবেষণা করবে।