দীর্ঘ দুই বছর নৃশংস গণহত্যা চালানোর পর অবশেষে গাজা উপত্যকার কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিন ধাপে গাজা ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেও গাজার ৫০ শতাংশের বেশি এলাকা এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গাজার বাসিন্দারা স্থানীয় সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব দিকে সরে গেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনারা এমন স্থানে ফিরে যাবে, যেখানে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার প্রায় ৫৩ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে বলেছেন, “একটি নির্ধারিত সীমারেখা পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে।”
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস একটি মানচিত্র প্রকাশ করে জানায়, কোন কোন এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। মানচিত্রে হলুদ রেখা দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাথমিক প্রত্যাহারের সীমারেখা দেখানো হয়, যা তিন ধাপের প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ইসরায়েলি হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু; তাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।