ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জেইতুন এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। আট দিন আগে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির এটি সবচেয়ে ভয়াবহ লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আবু শাবান পরিবারের সদস্যদের বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়িতে ট্যাংক থেকে শেল ছুড়ে হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী রয়েছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “পরিবারটি যখন বাড়ি পরিদর্শনের জন্য যাচ্ছিল, তখন গাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাদের সতর্ক করা যেত বা ভিন্নভাবে মোকাবেলা করা যেত। যা ঘটেছে তা প্রমাণ করে দখলদাররা এখনও রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অপরাধ চালাচ্ছে।”
হামাস ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং নিন্দা জানিয়েছে। গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, গাজার হলুদ রেখাগুলি শীঘ্রই স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ এড়ানো যায়।
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, গাজায় ত্রাণ সংকট গুরুতর। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫৬০ টন খাদ্য সরবরাহ হচ্ছে, যা প্রয়োজনীয় পরিমাণের তুলনায় খুব কম। প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ দিনে ছয় লিটারের কম পানীয় জল পাচ্ছে।
গত সপ্তাহেও গাজার শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী পাঁচজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এছাড়াও, ইসরায়েল মিশরের রাফাহ ক্রসিং ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বন্ধ করেছে, যার ফলে ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।